নোয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ফেইসবুক লাইভে এসে নিজের পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মন্তব্যের পরদিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ না তুলেই ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সীমারেখার মধ্যে থেকে দলীয় শৃঙ্খলার অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
“দলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের রয়েছে নিজস্ব সীমারেখা। কথায়, আচরণে, বক্তব্যে নিজের সীমারেখা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দল করতে হলে সবাইকে দলের নিয়ম, শৃঙ্খলা তথা দলের রীতি-নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে।”
কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে নালিশ করে বিএনপিই দেশকে নতজানু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপি নিজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং এ তত্ত্বের অনুসারী বলে সবক্ষেত্রে গন্ধ খুঁজে। বিএনপির অপমৃত্যুতো সেদিনই হয়েছে, যেদিন তারা সরকার পরিবর্তনের জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি শক্তির কাছে নৈতিক সমর্থন চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিলো।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনাভাইরাসের আঘাত মোকাবিলায় যারা শেখ হাসিনাকে পরাজিত দেখতে চেয়েছিলেন আজ তারাই পরাজিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সময়ের সাহসী নেত্রী হিসেবে বিজয়ী বীর হিসেবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ইতিহাস মনে রাখবে।”
রাজনীতিকে বহুমাত্রিক মহাসড়কের সঙ্গে তুলনা করে সড়কমন্ত্রী বলেন, “গণতান্ত্রিক চেতনায় আমাদের ভিন্নমাত্রা থাকতে পারে। কিন্তু এ সকল মতপার্থক্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে হবে সাংগঠনিক পরিমণ্ডলে।”
সরকার হঠানোর অশুভ চক্রান্ত হচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের বাতাসে এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ, অশুভ শক্তি সরকার হঠানোর চক্রান্তে লিপ্ত, চালাচ্ছে অপপ্রচার ও গুজব,খুঁজছে চোরা গলি। সবাই নিজেদের ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে।
“শেখ হাসিনা সরকারের সমৃদ্ধুর পথে যে যাত্রা তা এগিয়ে নিতে হবে। ভালো আচরণ, শৃঙ্খলাবোধ এবং ঐক্যবদ্ধতার শক্তি দিয়ে জয় করতে হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ।”