শনিবার ঢাকায় একটি হোটেলে মহাপরিকল্পনার দুই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যুগ্ম সচিব খাইরুল ইসলাম এবং আইডব্লিউএমের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আবু সালেহ খান চুক্তিতে সই করেন।
মেঘনা নদী দখল, দূষণ ও নাব্য সংকট থেকে রক্ষার এই মহাপরিকল্পনা করতে বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি চার লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ মোট ১৮ মাস।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, “নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান করছি। ইতোমধ্যে পাঁচটি নদীর দখল-দূষণ মুক্ত করার জন্য আমরা এমন প্ল্যান করেছি। এখন আমরা মেঘনা নদীর জন্য সে রকম মাস্টারপ্ল্যানের দিকে যাচ্ছি।”
রাজধানী ঢাকার চারপাশ এবং ভেতরে নদী থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা যদি নদীগুলোকে রক্ষা করতে পারি, তাহলে ঢাকা কেবল বাসযোগ্য নগরী হবে না, বিনোদন কেন্দ্রও হয়ে উঠবে হাতিরঝিলের মতো।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, “নদীগুলোর কারণে ঢাকা অত্যন্ত সুন্দর শহর। কিন্তু আমরা পাশের বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পানি নিয়ে পরিশোধন করতে পারছি না, দূষণের কারণে। এ কারণে আমাদের পানি আনার জন্য যেতে হচ্ছে, পদ্মা নদীতে-মেঘনা নদীতে।
“ইতোমধ্যে সরকার এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ মুক্ত করার জন্য মাস্টারপ্ল্যান করেছি, অ্যাকশন প্ল্যান চলছে। অতি দ্রুত সব কাজ চলছে।”
তিনি বলেন, “মেঘনা নদী ভালো অবস্থায় আছে। দূষণ হওয়ার আগে আমরা সেটাকে রক্ষা করতে চাই। মেঘনা নদীর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা জরুরি। এজন্য বাংলাদেশের নামি-দামি দুটি কনসালটেন্ট ফার্মকে নিয়োগ দিচ্ছি।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকায় ডেনমার্ক শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রেফিকা হেইতা, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বক্তব্য দেন।