ক্যাটাগরি

আইএলএফএসএল চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত

প্রতিষ্ঠানটির
দুরবস্থা কাটাতে গত বছর ১৯ মার্চ হাই কোর্টই তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছিল।

কিন্তু
আইএলএফএসএলের পাঁচ আমানতকারীর আবেদনে অন্যান্যদের সঙ্গে এন আই খানের দেশত্যাগেও
নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট।

এর
বিরুদ্ধে তিনি চেম্বার আদালতে আবেদন করলে রোববার চেম্বার বিচারপতি মো.নূরুজ্জামান
তা গ্রহণ করে হাই কোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দেন। 

আদালতে
এন আই খানের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী; যিনি রোববারই
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।   

রাষ্ট্রপক্ষে
ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন
মো.খুরশীদ আলম খান।

মেহেদী
হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চেম্বার আদালতের আদেশের ফলে এন আই খানের
বিদেশ যাত্রায় আপাতত কোনো বাধা থাকছে না।

ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, “আমানতকারীদের আবেদনেই উনার নাম ছিল। ফলে হাই
কোর্ট তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। চেম্বার আদালতকেও বিষয়টা আমরা বলেছি।
পরে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত উনার ক্ষেত্রে (এন আই খান) ৮ সপ্তাহের জন্য হাই
কোর্টের আদেশটি স্থগিত করেছেন।”

বিভিন্ন
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ নিয়ে
বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের মা লীলাবতী
হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে গত ৫ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাই কোর্ট।

বিচারপতি
মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ
দিয়েছিল।


২৫ জন হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, হারুনুর
রশিদ (ফাস ফাইনান্স), পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সামি হুদা, পি কে হালদারের খালাত ভাই অমিতাভ অধিকারী, অবন্তিকা বড়াল, শামীমা (আইএলএফএসএল),
রুনাই (আইএলএফএসএল ), সাবেক সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খান,
সুকুমার মৃধা (আয়কর আইনজীবী), অনিন্দিতা মৃধা, তপন দে, স্বপন কুমার মিস্ত্রি,
অভিজিৎ চৌধুরী, রাজিব সোম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, অঙ্গন
মোহন রায়, নঙ্গ চৌ মং, নিজামুল আহসান, মানিক লাল সমাদ্দার ও সোহেল সামস।

 এছাড়া
পিকে হালদারকে `বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তাকারী’ মাহবুব মুসা, এ কি ও
সিদ্দিকী, মোয়াজ্জেম হোসেন ও পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের দেশত্যাগে
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র
সচিবকে এ নির্দেশ দিয়ে আদালত আদেশে বলেছিল, “অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল, যাতে তারা কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না
পারেন। সেই সাথে তদন্তের প্রয়োজনে আইন অনুসারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে।”

ওই
২৫ জনের মধ্যে লীলাবতী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ইরফান উদ্দিন
আহমেদ ও উজ্জ্বল কুমার নন্দীর পাসপোর্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশে জব্দ আছে।