নিহত হামিদুল ইসলাম (৫৫) কেবল টিভির সংযোগ দেওয়ার ব্যবসা করতেন। তোপখানা রোডের ‘বসতি ময়ূরীতে’ তার বাসা।
রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করার পর তার ছেলে নাহিদুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন বলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার জানিয়েছেন।
আবদুর রহমান নামের একজন ভ্যানচালক শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কদম ফোয়ারার সামনে থেকে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেছিলেন, নিহতের প্যান্টের পকেটে ১৬ হাজার টাকা পাওয়া গেলেও কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।
শাহবাগ থানার ওসি মো. মামুন অর রশিদ সে সময় বলেছিলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
তবে রোববার রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এস এম শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা বলে এখন তাদের মনে হচ্ছে।
“মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে গেছে, কিন্তু পকেটে থাকা ১৬ হাজার টাকা নিতে পারেনি। মানিব্যাগে কত টাকা ছিল তা নিহতের স্বজনরা জানাতে পারেননি।”
শামীম জানান, গত ২০ বছর ধরে কেবল টিভির ব্যবসা করে আসছিলেন হামিদুল ইসলাম। পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে তার তিনটি ফ্ল্যাট আছে।
“শনিবার রাতে তিনি হাই কোর্ট মাজারের গেইটে চা খেয়েছিলেন। তখন ওই ফ্ল্যাটগুলোর কেয়ার টেকার সেলিমের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নেন । তারপর বাসায় যাওয়ার পথে ওই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারী চক্রের লোকজন হয়ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি দেখেছিল।”
তবে হামিদুল যেহেতু ডিশ ব্যবসায় জড়িত ছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক বিরোধের কোনো ঘটনা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান শামীম।