ক্যাটাগরি

ঘরোয়া উপাদানে খুশকি দূর

শীতে
খুশকির প্রকোপ এড়াতে  বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
খুশকির সমস্যা দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উপকারী।

রূপচর্চা-বিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানানো
হল।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

খুশকির
সমস্যা দূর করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খুব ভালো কাজ করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: সম-পরিমাণ
ভিনিগার ও পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেতা ধুয়ে
ফেলুন।

পরামর্শ:
ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুবারের বেশি এটা ব্যবহার করা যাবে না।

নারিকেল তেলের সঙ্গে লেবু

নারিকেল
তেল ও লেবু একসঙ্গে খুশকির বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। নারিকেল তেল চুল মসৃণ রাখে এবং লেবু
মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। 

ব্যবহার পদ্ধতি:
দুই টেবিল-চামচ নারিকেল তেল ও সম-পরিমাণ লেবুর রস এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ
করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।

পরামর্শ:
যাদের মাথার ত্বক সংবেদনশীল তাদের লেবু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কেন-না
এতে মাথার ত্বকে জ্বলুনি সৃষ্টি হতে পারে।

টক দই

দইয়ের
মাস্ক চুলের নানান সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। চুলের যত্নে এটা সহজ ঘরোয়া সমাধান।

ব্যবহার পদ্ধতি:
একটা বাটিতে টক দই নিয়ে তা চুলে ব্যবহার করুন। মাস্কটি শুকানোর জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা
করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

পরামর্শ:
খুশকির সমস্যা দূর করতে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা ভালো।

গ্রিন টি

গ্রিন
টি ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান সমৃদ্ধ এবং এটা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা
করে। তাই খুশকি কমাতে গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার পদ্ধতি:
এক কাপ গরম পানিতে দুইটা টি ব্যাগ ২০ মিনিট ধরে ডুবিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে আসলে তা মাথার
ত্বকে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তা চুল ধুয়ে নিন। 

পরামর্শ:
খুশকি থেকে বাচঁতে গোসলের পরে এটা ব্যবহার করুন।

রসুন

রসুন
উচ্চ মাত্রায় ফাঙ্গাস-রোধী উপাদান সমৃদ্ধ। যা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।

ব্যবহার পদ্ধতি:
দুইটা রসুন পিষে তাতে মধু যোগ করুন। মিশ্রণটি চুলে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম
গরম পানিতে শ্যাম্পু করে নিন।

পরামর্শ:
রসুনের কড়া ঘ্রাণ দূর করতে ভালো মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

খুশকি থেকে বাঁচার উপায়


চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খুশকি নিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।


খুশকি দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। কারণ রাসায়নিক উপাদান মাথার ত্বকে
ক্ষতি করতে পারে।


চুল আচঁড়াতে ‘ব্রাশের’ পরিবর্তে চিরুনি ব্যবহার করুন।


মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।