ক্যাটাগরি

টিকা সরবরাহে দেরির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে ইতালি

রোববার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মায়ো দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের পূর্বপরিকল্পিত টিকাদান প্রকল্প অনুযায়ীই কাজ করছি। সেটায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।”

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, টিকার উৎপাদন আরও বাড়াতে তারা তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। যে কারণে সাময়িকভাবে তাদের টিকা সরবরাহের গতি কমে গেছে। ফলে ইউরোপে চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করতে তাদের বিলম্ব হতে পারে।

ওদিকে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) উৎপাদনের সমস্যার কথা বলে চুক্তিপত্র অনুযায়ী যে পরিমাণ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল তা ৬০ শতাংশ কমানোর কথা জানানো হয়েছে বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান ইইউ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

ইইউ’র সদস্যভূক্ত দেশগুলোতে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং এই দুইটি কোম্পানির টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এখন তাদের টিকা সরবরাহে বিলম্বের বিষয়টি ‘মেনে নেওয়া যায় না’ বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপে কন্তে। শনিবার তিনি বলেন, এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন। যার বিরুদ্ধ ইতালি সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যদি টিকা সরবরাহ সমস্যা চলতেই থাকে তবে ইতালিকে পুরো টিকাদান প্রকল্প নিয়ে পুনরায় পরিকল্পনা করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

রোববার দেশটির উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতালি চার সপ্তাহের মধ্যে ৮০ ঊর্ধ্ব সব মানুষকে এবং ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে দেশের বাকি নাগরিকদের টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এখন যদি ওই দুই কোম্পানি টিকা সরবরাহ কমিয়ে দেয় তবে ইতালিকে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।

“এ ধরনের বিলম্বের ফলে পুরো ইউরোপকে ভুগতে হবে। তবে আমার বিশ্বাস, পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আগেই টিকা সরবরাহে দেরি কাটিয়ে উঠে সব কিছু আবার ঠিকঠাক হবে।”