আর এই ক্যাফেতে গিয়ে নতুনত্বের স্বাদ
নিতে এখন বিদেশ নয়, রাজধানীর গুলশান এক গোলচক্কর থেকে একটু হাঁটলেই মিলবে ফারজি’র স্বাদ।
আন্তর্জাতিক চেইন ফারজি ক্যাফে মুম্বাইতে
যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৪ সালে। লন্ডন, দুবাই, ভারতসহ বিশ্বের ৮টি দেশে এই ক্যাফের শাখা
রয়েছে। ৯ জানুয়ারি ঢাকাতেও যাত্রা শুরু করলেন তারা।
ভারতীয়, দেশি ও আশপাশের দেশের বিভিন্ন
খাবার নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন ও স্বাদে কিছুটা নতুনত্ব আনার প্রচেষ্টা থাকে ফারজি ক্যাফের।
যাকে আধুনিক রসনা পদ্ধতিতে বলা হয় ‘মলিক্যুলার গ্যাস্ট্রোনমি’।
রেস্তোরাঁর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনে
এরকমই দাবি করেন রাশাদুল হাসান চৌধুরীর রনি, যার উদ্যোগে এই খাবারের দোকানের যাত্রা
শুরু হয়েছে ঢাকায়।
তার কথায়, “একটি ‘কোলোইডল সিস্টেম’ অনুসরণ
করে খাবার তৈরি করার মাধ্যমে আধুনিক স্পাইস বিস্ট্রোর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ফারজি ক্যাফে।
এই পদ্ধতিতে মলিক্যুলার গ্যাস্ট্রোনোমি পদ্ধতি অনুসরণ করে খাবারের সব উপকরণকে প্রক্রিয়াজাত
করা হয়, যেখানে আধুনিক বিজ্ঞানের স্পর্শে গতানুগতিক রন্ধন প্রণালীকে দেওয়া হয় এক নতুন
রূপ।”
ফারজি ক্যাফে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় খাবারগুলো
ভারতীয় স্থানীয় খাবারের ছোঁয়ার মিশেলে অত্যাধুনিক রন্ধনশৈলি ও আবহে তৈরি একটি নৈশভোজ
অফার করছে।
রনি চৌধুরী আরও বলেন, “আমরা জাতি হিসেবে
ভোজনবিলাসী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও রুচিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
এখন কিন্তু খাওয়ার উদ্দেশ্য শুধু উদর পূর্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা আসলে পুরোটাই একটা
অভিজ্ঞতার নাম। ফারজি ক্যাফেতে আমাদের ভোজনরসিকরা খুব পরিচিত খাবারগুলো উপভোগ করতে
পারবেন সম্পূর্ণ নতুন এক স্বাদে, যাতে থাকবে খাবারের নান্দনিক, প্রযুক্তি ও সামাজিক
দৃষ্টিভঙ্গির দারুণ এক মিশেল। এই অভিজ্ঞতা সব ইন্দ্রিয়কে চাঙা করবে, যা আমাদের সমসাময়িকদের
জন্য সম্পূর্ণ নতুন কিছু।”
ফারজি ক্যাফেতে যেমন মিলবে নানরুটি, কালাভুনা
তেমনি মিলবে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, খিচুড়িসহ বিভিন্ন স্বাদের কোমল পানীয় ও মিষ্টান্ন।
তবে উপস্থাপনাতে রয়েছে নতুনত্ব।
দাম ২শ’ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়াইফাই’য়ের
ব্যবস্থা আছে। খোলা থাকছে রাত ১২টা পর্যন্ত।