শনিবার বিকালে
চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী
পরিষদ চট্টগ্রাম’ ব্যানারে এ সভা হয়।
সভায় মেয়র প্রার্থী
রেজাউল করিম চৌধুরী ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ
সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন,
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে মেয়র পদে জয়ী করলে সমৃদ্ধ, আধুনিক নগরী হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে
শেখ হাসিনা অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব প্রকল্পে কানেকটিভিটি বাড়লে, বন্দরের
সক্ষমতা বাড়লে ব্যবসায়ীদের স্বপ্নপূরণ হবে।
আওয়ামী লীগের
মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ভূঁইফোড় বা ‘হাইব্রিড’ নন মন্তব্য করে বিপ্লব বড়ুয়া
বলেন, তিনি সৎ রাজনীতিক। ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন,
চট্টগ্রাম ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র ছিল উপনিবেশিক আমলে। সেই গৌরব আমরা হারিয়েছি। এ চট্টগ্রাম
সমৃদ্ধ করলে সমগ্র দেশ সমৃদ্ধ হবে।মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সর্বাগ্রে।
“জননেত্রী শেখ
হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। আমরা যদি এক হতে পারি চট্টগ্রামকে পেছনে তাকাতে
হবে না। পরিকল্পিতভাবে এ চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচিত হলে সব শ্রেণী-পেশার
মানুষকে সমৃদ্ধির জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। সবার পরামর্শ প্রয়োজন আছে। সবার মেধাকে কাজে
লাগাতে চাই টেকসই উন্নয়নের জন্য।”
সভায় চট্টগ্রাম
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার
নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের পরিশ্রম, মেধায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউলের
জন্য শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি ভোট ভিক্ষা করছি।
সাবেক সিটি
মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রাম এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া। চট্টগ্রাম অনেকাংশে
ঢাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন,
নাগরিক হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে মেয়রের কাছ থেকে সেবা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আপ্রাণ
চেষ্টা করছেন এ শহরের উন্নয়নের জন্য। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় নিশ্চিত হলে পরিকল্পিত,
টেকসই উন্নয়নের সুফল মিলবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের
সভাপতি ও পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম সভাপতির
বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রবেশদ্বার। ব্যবসা ও অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড চট্টগ্রাম।
ছয় দফা জাতির পিতা ঘোষণা দিয়েছিলেন এ চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের দায়িত্ব
নিয়েছেন।
“বঙ্গবন্ধু
টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ চট্টগ্রামে চারটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে চট্টগ্রামে।
মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দরসহ এনার্জি হাব হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ
চলছে। সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক হাব।”
সরকারের সফলতা
ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং ব্যবসাবান্ধব আধুনিক মহানগরীর রূপকল্প বাস্তবায়নে
রেজাউল করিম চৌধুরীকে জয়যুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এস এম আবুল কালাম, বর্তমান পরিচালক
এস এম আবু তৈয়ব, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম
উইম্যান চেম্বারের আবিদা মোস্তফা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক
কাজী মাহমুদ ইমাস বিলু, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ।