ক্যাটাগরি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাদের সহপাঠী
হাজরা আলামিন জানান, রোববার বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান এবং শনিবার
ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমামুল হোসেন সোহানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই অবস্থায় তাদের পরিবর্তে বাংলা বিভাগের
শিক্ষার্থী মোজাহিদুল এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন অনশন
কর্মসূচি পালন করছেন বলে তিনি জানান।

আলামিন বলেন, “নোমানের জ্বর। সোহানও শারীরিকভাবে
ভীষণ দুর্বল। চিকিৎসা চলছে।”

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও চিকিৎসাধীন এই দুই শিক্ষার্থী অনশন
ভঙ্গ করেননি বলে জানান আলামিন।

এদিকে, রোববার অনশনরত দুই শিক্ষার্থী
প্রশাসনকে আবার চিঠি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে এই চিঠি
দেওয়া হয়।

চিঠিতে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক
তাদের বহিষ্কারাদেশ ‘নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার’ এবং চলমান সময়ে ও ভবিষ্যতে এই আন্দোলনের
সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো প্রকার হয়রানি ও বহিষ্কার করা হবে না মর্মে
লিখিত দাপ্তরিক পত্র চেয়েছেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন
বলেন, “মরে গেলেও আমরা আমাদের দাবি থেকে পিছপা হব না।”

বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর
দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান বলেন, দুই ছাত্রের এবারের চিঠিতে
নতুন কিছু নেই। তারা শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি।
ফলে এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ডাকার সুযোগ নেই।

শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে
সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু
করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি কমানো, আবাসন
সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে গত বছর ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আন্দোলন করেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই দুই শিক্ষার্থীও অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময়
দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

তবে ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে
তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি
জানানো এবং চাকরিচ্যুত হওয়া তিন শিক্ষকের একজন উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা
জানিয়েছেন।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজলকে
শনিবার বরখাস্ত, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী এবং বাংলা
ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলমকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

শাকিলা আলম সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন,
তারা কর্তৃপক্ষের এই ‘অন্যায়’ সিদ্ধান্ত মানবেন না। শিগগিরই এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন
তারা।

অপর দু’জন শিক্ষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা
বলার জন্য ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।