সমসাময়িক
বিষয় নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম
যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, এই টিকার (করোনাভাইরাসের টিকা) উপর নাকি তাদের আস্থা নেই।
“এই টিকার
উপর পুরো পৃথিবী আস্থা স্থাপন করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আস্থা স্থাপন করেছে, ভারতের
কোটি কোটি মানুষকে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও এই টিকা কিনে তাদের
জনগণকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
“আর মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলেছেন, এই টিকার উপর জনগণের
আস্থা নেই। তিনি আরও বালখিল্যের মত বলেছেন- `এই টিকা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হোক’।“
আওয়ামী
লীগ নেতা হাছান বলেন, “আমার সন্দেহ হচ্ছে, মানুষ বুড়ো হয়ে গেলে একটা রোগ হয়, সেই রোগ
হচ্ছে ডিমেনশিয়া, অর্থাৎ আবোল-তাবোল বলে। এই রোগটা শুধু মানুষের হয় তা নয়, এটি মানবগোত্রীয়
অন্যান্য প্রাণী যেমন- বানর-হনুমানেরও হয়।”
ডিমেনশিয়া
হলে মানুষ ‘অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর’ কথা বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সন্দেহ
হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই ডিমেনশিয়া রোগ হয়েছে কি না। না হলে তিনি যেভাবে
কালকে ইয়ার্কি করার মত কথা বলেছেন, একজন দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এমন বক্তব্য আশা
করা যায় না।”
বিএনপি
নেতাদের উদ্দেশে হাছান বলেন, “সরকারের সাফল্যে আপনাদের মুখ ম্লান হয়েছে। তাই বলে জনগণকে
বিভ্রান্ত করার যে নোংরা খেলায় নেমেছেন, এটি দেশ, জাতি ও জনগণের সাথে প্রতারণা, আপনারা
দয়া করে সেই প্রতারণাটা করবেন না।”
দেশে
যখনই কোনো দৈব-দু্র্বিপাক হয় তখনই ‘বিএনপি ও তার মিত্ররা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল
অপপ্রচারে লিপ্ত হয়’ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি
বলেন, “তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এই করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত
হওয়ার পর থেকে বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র সংবাদ সম্মেলন ও মাঝেমধ্যে দু-একটি
মানববন্ধনের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল।”
তথ্যমন্ত্রী
বলেন, “তারা আশা করেছিলেন এই করোনা আওয়ামী লীগ সরকার সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে
না। কিন্তু আমরা যেভাবে মোকাবেলা করেছি সেটা আজকে বিশ্ব কর্তৃক স্বীকৃত এবং প্রশংসিত।”
ইতোমধ্যে
টিকা দেশে আসতে শুরু করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি আশা করেছিল সঠিক সময়ে
টিকা আনা সম্ভব হবে না। যখন সঠিক সময়ে টিকা এলো তখন এই টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনগণকে
বিভ্রান্ত করার আরেক অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। পৃথিবীতে আবিস্কৃত কার্যকর টিকার মধ্যে
এটি হচ্ছে অন্যতম।”
জনপ্রতিনিধিদের
কবে টিকা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রথমে
টিকা পাওয়ার অধিকার রাখেন স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারা করোনার মধ্যে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে
কাজ করেছেন। সরকার সেভাবেই একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে। করোনার সময় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের
পাশে ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার অধিকারটা আগে নয়।
“কেউ
যদি মনে করে পথ দেখানোর জন্য আমাদের আগে টিকা নিতে হবে, সেক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার করতে
আমার কোনো আপত্তি নেই।”