বিনিয়োগকারী আগামী সোমবার পর্যন্ত আবেদন করেত পারবেন। একজন একটি
বিও হিসাব থেকে এক লট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রতি লটে ২০০ শেয়ার হিসেবে আবেদন করত খরচ হবে পাঁচ হাজার ৪০০
টাকা। মোট শেয়ারের চেয়ে বেশি আবেদন জমা হলে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বণ্টনের ব্যবস্থা
হবে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ২১ অগাস্ট লুব-রেফকে
আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রাথমিক অনুমোদন
দেয়।
নতুন যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং
আইপিও খাতে এই অর্থ ব্যয় হবে।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ২০০১ সালের ১৮ নভেম্বর ব্যবসায়িক নিবন্ধন
পায় এবং ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু করে। এ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, আর চেয়ারম্যান রুবিয়া নাহার।
লুব্রিকেন্ট অয়েল মিশ্রণ ও পরিশোধন করে ‘বিএনও লুব্রিকেন্টস’
ব্র্যান্ড নামে বিক্রি করে লুব-রেফ। ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার লুব্রিকেন্ট, হাইড্রলিক অয়েল,
ট্রান্সফর্মার অয়েল ও গ্রিজ তাদের প্রধান পণ্য।
১৫০ কোটির মধ্যে ৭৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার জন্য নিলামে দাম
হাঁকানো শুরু ১২ অক্টোবর। লুব-রেফের প্রান্তসীমা মূল্য হয় ৩০ টাকা।
বাকি ৭৫ কোটি টাকা ৩০ টাকা থেকে ১০ শতাংশ কমে ২৭ টাকায় সাধারণ
বিনিয়োগকারীরা লটারিতে পাবে।আর এই শেয়ারের জন্য আবেদ শুরু হবে মঙ্গলবার।
১৫০ কোটি টাকা তুলতে লুব-রেফ ৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪টি শেয়ার
বাজারে ছাড়বে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থবছরে ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার পণ্য
বিক্রি করে লুব-রেফ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির
পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১০০ কোটি। ২০১৬ সাল থেকে চার বছর টানা মুনাফায় রয়েছে; সর্বনিম্ন
৫ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।