সোমবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়, রিউ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছান এবং আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিন্তু এতদিন এ খবর গোপন রাখা হয়।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় শীর্ষ বাণিজ্য পত্রিকা মেইল বিজনেস ডেইলিতে এ খবর প্রকাশ পায় বলে জানায় ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের শাসন শুরুর পর দমন বা দারিদ্র থেকে বাঁচতে দেশটির প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছেন।
তাদের বেশিরভাগই প্রথমে গোপনে চীন সীমান্ত অতিক্রম করে। তারপর চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তিদের তালিকায় বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। এত উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের পক্ষত্যাগের ঘটনা বেশ বিরল।
কিন্তু রিউর বেলায় বিষয়টা একটু ব্যতিক্রম ছিল। রিউর পক্ষত্যাগের মাত্র দুই মাস আগে ইতালিতে উত্তর কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জো সং গিল দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
মেইল বিজনেস পত্রিকায় নিজের পক্ষত্যাগের কারণ ব্যাখ্যায় রিউ বলেন, ‘‘আমি আমার সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দিতে পক্ষত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র প্রকল্প নিয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পর কুয়েত ওই সময়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সো চ্যাং সিককে বরখাস্ত করলে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রিউ অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হন।