ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) সোমবার এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন থেকে চার মাসে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে। তার আগে শিক্ষার্থীরা তিন-চার মাস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।
মহামারীর প্রকোপ বেশি থাকায় গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ফল ঘোষণা করতে ইতোমধ্যে সংসদে বিল পাস হয়েছে। এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি অংশও পরীক্ষা ছাড়া পাসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কোনো রকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনে আপনারা যেভাবে আন্দোলন করছেন; এ ক্ষেত্রে বরং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সুতরাং আপনাদের এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”
তিনি বলেন, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সে সময় সংক্রমণের হার বেশি থাকায় সরকার তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিকল্প মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিয়েছে।
“কিন্তু ২০২১ সালের যারা পরীক্ষার্থী, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তারা তেমন প্রস্তুতি নিতে পারেনি। সুতরাং তাদের অটো পাস দেওয়া সম্ভব নয়। সংক্রমণের হার ও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। “
নায়েমে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’-এর উন্মোচন এবং ১৫৯তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, নায়েমে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের এই উদ্যোগ ‘অত্যন্ত প্রশংসনীয়’ ।
“একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রাম প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু তার সবকিছুই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। দেশের শিক্ষকবৃন্দ হচ্ছে সোনার মানুষ গড়ার কারিগর। দেশের সকল শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে।”