সোমবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের
হাড়িনাল এলাকায় বাড়ি পাশে তার লাশ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত নোমান (৪) হাড়িনাল
এলাকার আবু সাঈদ সরকারের ছেলে।
এক সপ্তাহ আগে [১৮ জানুয়ারি]
নোমান নিখোঁজ হয়। পরদিন তার মা বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তারও একদিন পর পুলিশ নোমানের
সৎভাই নাহিদ সরকারকে (২২) গ্রেপ্তার করে।
মহানগর পুলিশের সদর থানার
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৮ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে নোমান তার সৎভাই নাহিদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে
নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার মা ও স্বজনরা তার সন্ধান পাননি।
ওসি বলেন, এর এক সপ্তাহ
পর সোমবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন শিশু বাড়ির পাশে সীমানা প্রাচীরের ভেতর কলাপাতায় ঢাকা
নোমানের গলায় রশি পেঁচানো লাশ দেখতে পায়।
ওসি জানান, নিখোঁজের একদিন
পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু সাঈদের প্রথম পক্ষের ছেলে নাহিদ সরকারসহ (২২) অজ্ঞাত
পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে নোমানের মা সাঈদা পারুল বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা
দায়ের করেন।
“জমির বিরোধের জেরেই শিশুটিকে
অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার নাহিদের বিরুদ্ধে
আগেরও একটি খুনের মামলা রয়েছে।”
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।
পরিবারের সদ্যদের বরাত
দিয়ে ওসি জানান, ২০০৯ সালে আবু সাইদের প্রথম স্ত্রী নাহিদের মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়।
ওই ঘরে নাহিদ ছাড়াও তার (নাহিদের) এক বোন রয়েছে। পরে আবু সাঈদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই
ঘরের একমাত্র সন্তান নোমান।
বেশ কিছুদিন ধরে বাবার
জমি-জমা নিয়ে সৎ মায়ের সঙ্গে নাহিদের বিরোধ চলছিল বলে
জানান পরিবারের সদস্যরা, বলেন ওসি।