প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার
জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “জাহাজ নির্মাণ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, এই শিল্প সংশ্লিষ্ট নানাবিধ
ব্যাকোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশ, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস,
রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের টেকসই বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্প
মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনাসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা
প্রণয়ন করা হয়েছে।”
নীতিমালার মূল লক্ষ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে
দেশীয় জাহাজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশ্ব জাহাজ
নির্মাণ শিল্পের উপযুক্ত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলাই এই নীতিমালা লক্ষ্য।
“এছাড়া অধিক বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি
ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রপ্তানি খাতের অবদান চার বিলিয়ন ডলারে উন্নীত
করা হবে, এখন জাহাজ রপ্তানি করে আয় হয় এক বিলিয়ন ডলার।”
আনোয়ারুল জানান, নীতিমালা বাস্তবায়ন করে
অধিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জাহাজ শিল্পে নিয়োজিত বিদ্যমান ৩০ হাজার কর্মীর সংখ্যা
বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে এক লাখে উন্নীত করা হবে।
“সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সুষ্ঠু সমন্বয়ের
মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্পী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করাও নীতিমালার
উদ্দেশ্য।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাহাজ নির্মাণের
সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের কিভাবে ঋণ সহায়তা দেওয়া যায়, ট্যাক্স ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে
তাদেরকে কিভাবে একটু সুবিধা দেয়া যায়- এগুলো এই নীতিমালার মধ্যে আছে।
“এটা (জাহাজ নির্মাণ) আমাদের জন্য অত্যন্ত
গুড ইন্ডাস্ট্রি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য জাহাজ তৈরি করতে পারব। এতে আমাদের বৈদেশিক
মুদ্রার সাশ্রয় হবে।”
উন্নত দেশগুলো সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ
শিল্প থেকে ‘দূরে সরে এসেছে’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তারা এখন আউটসোর্সিং
করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ইন্ডাস্ট্রিটাকে আমরা ধরতে পারি। সেটা পারলে এখান থেকে
বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।”
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের
অবসর সুবিধা বৃদ্ধি, পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার এবং এ সংক্রান্ত অটোমেশন কার্যক্রম সম্পর্কে
মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।