ক্যাটাগরি

ট্যুর অপারেটরদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর
ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা
শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশের
পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ট্যুর কার্যক্রম পরিচালনায় ট্যুর অপারেটর
ও ট্যুর গাইড আইনের আওতায় পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ন করা
হয়।

“ট্যুর
অপারেটর কীভাবে পরিচালনা করা হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেওয়া
হবে, কীভাবে নিবন্ধন দেওয়া হবে- আইনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।”

প্রস্তাবিত
আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ট্যুর অপারেটররা যদি
কোনো অপরাধ করে তাহলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধের বিচার করা যাবে।

নিবন্ধন
ছাড়া কেউ ট্যুর অপারেশন করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিবন্ধনের জন্য
কী কী যোগ্যতা তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সনদ দেওয়ার জন্য সরকার একটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ
গঠন করে দেবে।

“পর্যটকদের
কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের আইন করা হচ্ছে। এর অধীনে একটি গাইডলাইন করা হবে। কোন সেবা
কত টাকার মাধ্যমে পাওয়া যাবে, এগুলো পরিষ্কার হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, “আমরা আস্তে আস্তে যত উন্নত দেশের দিকে যাব আমাদের সেবাগুলো তত উন্নত হতে
থাকবে। সেবা খাত আমাদের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের একটা বড় ক্ষেত্র হবে।”

আইনের
মাধ্যমে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাদের সেবা প্রাপ্তিও
সহজ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

“কারণ
অনেক বড় বড় ইনফরমাল ট্যুর হচ্ছে কিন্তু কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স সরকারের খাতে জমা হচ্ছে
না। এজন্য যত নিবন্ধন ও ট্যুর হবে সবগুলো রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলে আসবে।”