ক্যাটাগরি

ডিএসইর লেনদেনে বেক্সিমকোর আধিপত্য

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির লেনদেন ছিল সবচেয়ে বেশি; মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ।

বেক্সিমকো সোমবার ডিএসইকে জানিয়েছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা।

আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২৩ পয়সা। সে হিসেবে মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা বা ৬৭৪ শতাংশ।

আর ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা যা আগের বছর ছিল ৫৪ পয়সা। এই খবরের পর সকাল থেকে দাম বাড়তে থাকে বেক্সিমকোর শেয়ারের।

দাম বাড়তে বাড়তে এক সময় আগের দিনের সমাপনী দামের থেকে ৮ টাকা বেড়ে যায়। তবে দিন শেষে তা আবার নেমে আগের দিনের দরে কাছাকাছি চলে আসে।

রোববার বেক্সিমকোর শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৮৮ টাকা ৯০ পয়সা। সোমবার বেক্সিমকোর শেয়ারে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা। সর্বনিম্ন দাম ছিল ৮২ টাকা ৫০ পয়সা।

এদিন বেক্সিমকোর মোট ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৩৩টি শেয়ার হাত বদল হয়। টাকার অংকে লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম ৩৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই লেনদেন রোববারের ঢাকার পুরো লেনদেনের ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।  

১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।

কোম্পানিটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ১২৯ কোটি ১ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা দেয় এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ৫টি শেয়ারি দিয়েছিল।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ১৪২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা দিয়েছিল।

২০১৯-২০ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা দিয়েছিল।

পুঁজিবাজারে বেক্সিমকোর ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বিদেশিদের হাতে আছে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে।

বেক্সিমকো লিমিটেডের বাজার মূলধন ৭ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ৪৭ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।