মার্কিন মিশনের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই তাদের শক্তি জানান দিতে দক্ষিণ চীন সাগরে বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠায়।”
“ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি মোটেই উপযোগী নয়।”
যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের অভিষেকের পরই ‘সমুদ্রে অবাধ বিচরণ’ নিশ্চিত করতে শনিবার যুদ্ধবিমানবাহী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরীসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
তবে এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল যখন চীন–তাইওয়ান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। কারণ, শনিবারেই তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনা বোমারু ও যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকাই চীন নিজের বলে দাবি করে। তবে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনাইসহ তাইওয়ানেরও এ সাগরের ওপর দাবি আছে।
বিরোধপূর্ণ এ সাগরাঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করা নিয়ে চীন বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। এবার চীনা বিমানের তাইওয়ানি আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে গেল।
চীন তাদের বিমান বাহিনী ওই অঞ্চলে কি করছে সে সম্পর্কে কিছু বলেনি। তবে চীন তাইওয়ানকে আবারও তাদের অবিচ্ছিন্ন অংশ বলে দাবি করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে, তাদের উচিত ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলা।