বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান সোমবার সাক্ষাৎ করতে এলে তার কাছে এ আমন্ত্রণ জানান স্পিকার।
জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের অফিসে এই সাক্ষাৎ হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় স্পিকার বলেন, দুই দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে পাঠাতে বাংলাদেশ যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক সংখ্যক দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান স্পিকার।
এ সময় মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সামনে রেখে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানান শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, “কোভিডকালীন সময়েও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রণোদনা ঘোষণার মাধ্যমে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন ব্যক্তিও যেন খাদ্যাভাবে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য সারা দেশে খাদ্যসামগ্রী যথাসময়ে বিতরণ করেছে সরকার।
“সকলের জন্য করোনা ভ্যাক্সিন নিশ্চিতকরণেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে কোভিড পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্যাভাব পরিলক্ষিত হয়নি।”
এ সময় রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান কোভিডকালীন সময়ে সরকারের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একত্রে কাজ করার জন্য দুই দেশের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ তৈরি করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে দুদেশের সংসদীয় সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়ন হবে বলে তিনি মনে করেন।
স্পিকার এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সৌদি আরবের সহযোগিতা চান বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।