তার প্রার্থিতা বহালের
হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির
নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
আদালতে প্রার্থীর পক্ষে
আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তার রসুল (মুরাদ)। রাষ্ট্রপক্ষে
ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি
নলছিটি পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ৩১
ডিসেম্বর কে এম মাসুদ মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং
কর্মকর্তা (জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) গত ৩ জানুয়ারি কে এম মাসুদের মনোনয়নপত্রটি বাতিল
করে দেন। হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্যের ‘গরমিলকে’ কারণ দেখিয়েছিলেন তিনি। এর বিরুদ্ধে
কে এম মাসুদ আপিল করলে সেটিও না মঞ্জুর হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ
করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন কে এম মাসুদ। সে রিটের শুনানি করে গত ১৩ জানুয়ারি হাই
কোর্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
সেই সঙ্গে কে এম মাসুদকে
প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে পৌর নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহাল রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে
নির্দেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষ হাই কোর্টের
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত
হাই কার্টের আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয়।
চেম্বার আদালতের এ
আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কে এম মাসুদ।
সে আবেদনের শুনানির
পর সর্বোচ্চ আদালত চেম্বার আদালতের আদেশটি বাতিল করে হাই কোর্টের আদেশটিই বহাল রাখে।
ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারি
অনুষ্ঠেয় নলছিটি পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন কে এম মাসুদ।