আগামী ৩১ জানুয়ারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট
কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রভোস্ট কমিটির সদস্য
সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে মাস্টার্স শেষ পর্ব ও অনার্স শেষ পর্বের পরীক্ষার্থীদের জন্য মার্চের প্রথম
সপ্তাহ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলসমূহ খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রভোস্ট কমিটি।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পূ্র্বে হলে অবস্থান করছিল, তারাই হলে উঠতে পারবে। পরীক্ষা
শেষ হলে তাদের হল ছেড়ে দিতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার্থীদের হলে ওঠার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
প্রক্টর বলেন, “এই
সময়টাতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাবে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক
পরিবেশ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এ সময়টাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার
সময় দেওয়া হচ্ছে।”
দেশে করোনাভাইরাসের
প্রাদুর্ভাবের পর গত বছর ১৮ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বন্ধ রয়েছে। সেশনজট রোধে অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে গেলেও এতদিন পরীক্ষা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ।
সেশনজট নিরসন ও ৪৩তম
বিসিএস পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে মহামারীর মধ্যেই ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক ফাইনাল ও
স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ
কয়েকটি বিভাগ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণায়
শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকায় ঢাকায় এসে কোথায় থেকে পরীক্ষা দেবেন,
তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অসুবিধার
কথা বিবেচনায় নিয়ে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠনও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।