ক্যাটাগরি

শুরু হলো লাল বলের তুকতাক

অনুশীলনে যখন মুমিনুল, টেস্ট ক্রিকেটের আগমণী বার্তা জানান দেয় সেটিই। ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিন চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বাংলাদেশ দল।

পুরো দল অবশ্য নয়। ওয়ানডে স্কোয়াডের যারা টেস্ট দলে আছেন, তাদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ মিঠুন ছিলেন মাঠে। বাকিরা ছিলেন বিশ্রামে। অনুশীলন করেন মুমিনুল, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, নাঈম হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদরা।

আঙুলের অস্ত্রোপচারের পর কদিন আগে ব্যাটিং শুরু করেছেন মুমিনুল। ডমিঙ্গো দিনের ‘শেষ বল’ বললেও আদতে তা ছিল ওই নেটে মুমিনুলের শেষ বল। এরপর মাঠের অন্য প্রান্তের নেটেও ব্যাট করেন তিনি।

এভাবেই লম্বা সময় চলে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। আঙুলের চোট কাটিয়ে ফেরা অফ স্পিনার নাঈমও লম্বা সময় টানা বোলিং করেন নেটে। লাইন-লেংথ, ফ্লাইট আর বাড়তি বাউন্স মিলিয়ে যথেষ্ট ধারাল মনে হলো এ দিন নাঈমকে। নেটে মুমিনুল, সাদমানদের তিনি ভোগালেন যথেষ্টই।

আঙুলের চোট কাটিয়ে ফেরা মুমিনুলের আঙুল দেখছেন প্রধান কোচ ডমিঙ্গো।

আঙুলের চোট কাটিয়ে ফেরা মুমিনুলের আঙুল দেখছেন প্রধান কোচ ডমিঙ্গো।

ওপেনার সাদমান একটি বল ঠিকমতো খেলতে না পেরে হতাশ হওয়ার ভঙ্গি করেন। নেটের পাশ থেকে কোচ ডমিঙ্গো চিৎকার করে বলেন, “সাদমান, শরীরী ভাষা ভালো দেখতে চাই আমি। ঠিক আছে? একটি বাজে শট খেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কেউই নিখুঁত নয়, সবাই ভুল করে। শরীরী ভাষা ভালো দেখাও।”

নেটে আর্ম থ্রোয়ারে বল ছুঁড়ছিলেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। নেটে ব্যাটসম্যানদের বেশ পরীক্ষা নিচ্ছিলেন তিনি। নুরুল হাসানকে সোহানকে কয়েক দফায় ভোগানোর পর বেশ মজা করে বললেন, “আমার বল তো দেখি দুই দিকেই সুইং করছে। বাউন্সও হচ্ছে বেশ…।” সোহান চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “আমাকে আউট তো করে দেখাও রায়ান!” কুক হেসে বললেন, “ তাহলে তৈরি হও।” সোহান বেশ ভালোভাবেই তৈরি হলেন। চ্যালেঞ্জের পর অনেকটাই নিখুঁত হলো তার ডিফেন্স ও বল ছেড়ে দেওয়া।

কুকের শেষ চ্যালেঞ্জ ছিল নাঈম হাসানকে। ব্যাট হাতে নাঈম নেটে নামার সময় কুক ঘড়ি ধরে জানিয়ে দিলেন, “তোমাকে দিনের শেষ ১৩ মিনিট টিকে থাকতে হবে।”

এই মাঠের সবশেষ টেস্টে এভাবেই শেষ সময় উইকেট আঁকড়ে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। টেস্টের নবীন দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেদিন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। নাঈম ছিলেন সেই ম্যাচে। আউট যদিও হননি তিনি, তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন দলের চরম বিব্রতকর হার। এবার কেমন করবে বাংলাদেশ?

জানতে অপেক্ষা আর কিছুদিনের। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরু প্রথম টেস্ট।