নির্বাচনের
একদিন আগে মঙ্গলবার দুপুরে সিটি নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দেন তিনি।
বিএনপির
মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন এসময় সাংবাদিকদের বলেন, “আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচনের
দিকে যাচ্ছে বলে আমি শঙ্কা প্রকাশ করছি।”
তিনি
বলেন, “যারা মাঠে কাজ করছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাসায় না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনকে
ধরে নিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে একটা যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে
আনার চেষ্টা করেছিলাম, গত সাতদিনে সেটা এখন আশঙ্কা ও ভীতির জায়গায় পরিণত হয়েছে।
“সোমবার
রাতে আমাদের ৫৬ জন এজেন্টকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ১৫টি থানায়
আমাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এক মাস দুমাসে হয়নি। সাতদিন ধরে হয়েছে।
হঠাৎ করে সাতদিন ধরে মামলা হবে কেন? নিশ্চয় আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে কাজ করতে না পারে, সেজন্য ভয়ভীতি দেখাতে মামলাগুলো করা হয়েছে।”
ধানের
শীষের এজেন্টদের ছেড়ে দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান
জানান শাহাদাত।
রিটার্নিং
কর্মকর্তা কী বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের বরাবরের
মতো আশ্বস্ত করেছেন। উনি বলেছেন, একটা ভালো নির্বাচন করবেন।”
শাহাদাত
বলেন, “ফরম পূরণ করার পর একজন পোলিং এজেন্ট কমিশনের অংশ। ইসির উচিত তাদের ছাড়িয়ে আনা।
যদি এটা না পারে, তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ।”
এর
আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রামে
শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ভোটররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়ে
বাসায় ফিরতে পারবেন বলেও তিনি আশাবাদী।
তবে
বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, “আমি মনে করি নির্বাচনের একদিন আগে এজেন্ট গ্রেপ্তারের
মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
“একতরফা
একটা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকে সরকার আবার এগিয়ে যাচ্ছে। ১২ বছরের মধ্যে তাদের
ইতিহাসে একটি রেকর্ডও নেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার। সম্ভবত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনটিও
সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তবা ভোট ডাকাতির আরেকটি নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।”
আওয়ামী
লীগ পরাজয়ের ভয়ে ‘খুবই ভীত’ দাবি করে শাহাদাত বলেন, “তারা জনগণকে বিশ্বাসই করতে পারছে
না। তারা হয়তবা সন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের ব্যবহার
করে আবারও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হতে চায়।
“আমরা
স্পষ্ট বলতে চাই, জনগণ রাজপথে আছে। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম
করে যাচ্ছে। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ জনগণ যদি
আগামীকাল (বুধবার) তাদের যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাহলে আমরা জয়ী হবে।”