ক্যাটাগরি

গ্রামীণফোন হ্যাকাথনে বিজয়ী ১০ উদ্যোক্তা

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, গ্রামীণফোন গত ডিসেম্বরে ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট হিসেবে ‘কোডমাস্টার্স’ হ্যাকাথন
সিরিজ আয়োজন করে। এই প্ল্যাটফর্মটি মর্ডানাইজেশন ও ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য পূরণে গ্রামীণফোনকে
দক্ষ কোডার্স ও ডেভেলপার খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে।

এক হাজার ৩০০ এর বেশি ডিজিটাল
নিনজা ‘কোডমাস্টার্স’ হ্যাকাথনে নিবন্ধন করেন। হ্যাকাথন পার্ট-১ এ অংশগ্রহণের জন্য
৪০০ এর বেশি প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয় এবং এর মধ্য থেকে প্রায় ৬০ জন হ্যাকাথন
পার্ট-২ এ অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

বিজয়ীদের জন্য গ্রামীণফোন
মঙ্গলবার রাজধানীর জিপি হাউজে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

গ্রামীণফোনের প্রধান মানব
সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন বলেন, “২০২০-এর ডিজিটাল নিনজা কোডমাস্টার্স হ্যাকাথন
ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে আমরা দেশের প্রফেশনাল ও ডেভেলপারদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি
এবং তাদের দক্ষতাগুলো দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করছি, এই উদ্যোগটি তাদের সক্ষমতা
বিকাশে সাহায্য করেছে।”

গ্রামীণফোন জানায়, প্রতিটি
ক্যাটাগরি থেকে একজন বিজয়ী ও রানারআপ নির্বাচিত করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হল- অ্যান্ড্রয়েড
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস অ্যানালিস্ট, আইওএস অ্যাপ্লিকেশন, কোয়ালিটি আশুরেন্স
ইঞ্জিনিয়ার এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট।

প্রত্যেক বিজয়ী পুরস্কার
হিসেবে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর রানারআপদের দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন
ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে খন্দকার আশিকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে রানারআপ
হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলামকে নির্বাচিত করা হয়।

বিজনেস অ্যানালিস্ট ক্যাটাগরিতে
সাদমান মাহমুদ বিজয়ী এবং রাইসা ফারিহা রানার-আপ হয়েছেন।

আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
ক্যাটাগরিতে নাগিব বিন আজাদকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করে গ্রামীণফোন্। এই ক্যাটাগরিতে
রানার-আপ নির্বাচিত হন মো. নাজমুল ইসলাম।

কোয়ালিটি আশুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার
ক্যাটাগরিতে অমিত সাহা বিজয়ী এবং মোনেম তাজওয়ার রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্যাকএন্ড ডেভলপমেন্টে শহিদুল
ইসলাম বিজয়ী এবং তাসিন ইশমাম রানারআপ নির্বাচিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড
গ্রোথ প্রসপেক্টস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় বেসিসের প্রেসিডেন্ট
সৈয়দ আলমাস কবীর, প্রথম আলোর ইয়ুথ প্রোগ্রামসের প্রধান মুনীর হাসান, এলআইসিটির পলিসি
অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের হেড অব ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি সোলায়মান
আলম, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন এবং এর হেড অব কমিউনিকেশনস
খায়রুল বাশার অংশগ্রহণ করেন।