সিএনএন-কে সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
ট্রাম্পের বিচার কাজ চালাতে গেলে আইনসভার নানা কর্মসূচি এবং নতুন মন্ত্রিসভায় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এর প্রভাবে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বলে বাইডেন স্বীকার করেছেন।
তারপরও তিনি বলেন, “যদি এটা (ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার) না হয় তাহলে এর খুব খারাপ প্রভাব পড়বে।” যদিও এখনও সেনেটে অভিশংসন বিচারে ট্রাম্প যে দোষী সাব্যস্ত নাও হতে পারেন সে সংশয়ও ফুটে উঠেছে বাইডেনের কথায়।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন বিচার শুরুর জন্য মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ থেকে সেনেটে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এরই মধ্যে দাখিল হয়েছে।
সোমবার উপস্থাপন করা এই অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে বৈধতা দিতে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলার আগে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প তার সমর্থকদের সহিংসতায় উসকানি দিয়েছিলেন।
ওই হামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনের প্রাণ যায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারে কৌসুঁলির ভূমিকায় থাকবেন প্রতিনিধি পরিষদের নয়জন ডেমোক্র্যাট সদস্য।
সোমবার তারা হাউজের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে সঙ্গে নিয়ে নীরবে পুরো ক্যাপিটল প্রদক্ষিণ করে অভিশংসন বিচারের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কংগ্রেসের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই বিচারে প্রতিনিধি পরিষদের প্রধান প্রসিকিউটর জেমি রাসকিন কংগ্রেসে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।
গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়।
প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আনা অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১০ রিপাবলিকান সদস্য। ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয়।
এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মত অভিশংসিত হন এবং সেনেটে তার বিচারের পট প্রস্তুত হয় ।
সেনেটের অভিশংসন বিচারে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে। সেনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। যদি ভোটের দিন সবাই উপস্থিত থাকেন, তাহলে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে কমপক্ষে ১৭ জন রিপাবলিকানের ভোট প্রয়োজন হবে।
কিন্তু ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে ১৭ জন রিপাবলিকান সেনেটরের ভোট পাওয়া যাবে না বলেই মনে করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে যদি ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ছয়মাস থাকত তবে সেনেটের বিচারের ফল ভিন্ন হত বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘আমি সেখানে যাওয়ার পর সেনেটে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সেটা এখনও এতটা পরিবর্তিত হয়নি।”
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সেনেটে ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।