সোমবার উপস্থাপন করা এই অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার আগে এক বক্তব্যে তাদের উসকানি দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, যার মেয়াদ গত ২০ জানুয়ারি শেষ হয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে বৈধতা দিতে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকদের নজিরবিহীন ওই হামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনের প্রাণ যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই অভিশংসন বিচারে প্রসিকিউটরের ভূমিকায় থাকবেন প্রতিনিধি পরিষদের নয়জন ডেমোক্র্যাট সদস্য।
সোমবার তারা হাউজের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে সঙ্গে নিয়ে নীরবে পুরো ক্যাপিটল প্রদক্ষিণ করে অভিশংসন বিচারের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কংগ্রেসের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই বিচারে হাউজের প্রধান প্রসিকিউটর জেমি রাসকিন কংগ্রেসে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি নিয়ে ডনাল্ড জন ট্রাম্প গুরুতর অপরাধ ও আইন লঙ্ঘন করেছেন।
এই অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ।
ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির ১০ জন সদস্যও ডেমোক্রেটিক পার্টির আনা ওই অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত অভিশংসিত হন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছিলেন। তবে সে দফায় সেনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।
সেনেটের অভিশংসন বিচারে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে। সেনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। যদি ভোটের দিন সবাই উপস্থিত থাকেন, তাহলে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে কমপক্ষে ১৭ জন রিপাবলিকানের ভোট প্রয়োজন হবে ডেমোক্র্যাটদের।
রয়টার্স লিখেছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সেনেটে অভিশংসন বিচারের কার্যক্রম শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার বলেছেন, কংগ্রেসের বিচারে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে যথেষ্ট ভোট মিলবে বলে তিনি মনে করেন না।
পুরনো খবর
সেনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার আগামী সপ্তাহেই
দ্বিতীয় দফায় অভিশংসিত ট্রাম্প, এরপর কী?
ফের অভিশংসিত ট্রাম্প অসম্মানজনক বিদায়ের পথে
আমেরিকাকে ডুবিয়ে বিদায় হলেন ট্রাম্প