৪ উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাবর আজমের দল। এখনও ১৮৭ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। আজহার আলি ও ফাওয়াদ আলম, দুজনেই ৫ রানে ব্যাট করছেন।
স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা অনুমান করতে পারছিলেন কি আসছে। সাবধানও ছিলেন তারা, তবুও কাজ হয়নি। কাগিসো রাবাদার প্রত্যাশার চেয়ে কম বাউন্স করা বলে বোল্ড হয়ে যান আবিদ আলি।
আবার রাবাদারই বাড়তি লাফানো বলে লেগ গালিতে ধরা পড়েন অভিষিক্ত ওপেনার ইমরান বাট। বোলিংয়ে এসেই বড় শিকার ধরেন কেশভ মহারাজ; এলবিডব্লিউ করে ফেরান চোট কাটিয়ে ফেরা বাবরকে।
শেষ কিছু ওভার সামলাতে নাইটওয়াচম্যান নামিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দ্রুতই বোল্ড করে দেন আনরিক নরকিয়া। বাকি সময়টুকু নিরাপদে কাটিয়ে দেন আজহার ও ফাওয়াদ।
১৪ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ব্যাটিংয়ের দিক থেকে প্রথম দিনটি হয়ে আছে আক্ষেপের। টস জিতে ব্যাট করতে নামা দলটির প্রথম সাত ব্যাটম্যানের সবাই দুই অঙ্কে যান, কিন্তু ত্রিশের ঘর ছাড়াতে পারেন কেবল ডিন এলগার।
থিতু হয়েও কেউ পারেননি নিজের ইনিংস বড় করতে। নেই কোনো পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। যখনই মনে হয়েছে জমে উঠছে জুটি তখনই সেটা ভেঙেছে। কঠিন সময় পার করে ফিরেছেন ব্যাটসম্যানরা।
উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল, প্রথম দিনেই স্পিনাররা বেশ টার্ন পান। পাকিস্তানের বোলারদের কৃতিত্ব ছিল, সফরকারী ব্যাটসম্যানদের দায়ও কম নয়। বাজে শট সিলেকশন ও বাজে রানিং বিটুইন দা উইকেট ভুগিয়েছে তাদের।
শুরুটা এইডেন মারক্রামকে দিয়ে। তিন চারে শুরুটা ভালো করা মারক্রাম টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আফ্রিদির বলে ধরা পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে। ঝুঁকিপূর্ণ রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউটে কাটা পড়েন রাসি ফন ডার ডাসেন।
অনেক বিপদে হাল ধরা এলগার ও ফাফ দু প্লেসি দাঁড়িয়ে যান এবারও। তাদের ব্যাটেই ইনিংসে নিজেদের সেরা জুটি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লাঞ্চের পর সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে চার মূল স্তম্ভকে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান।
দারুণ এক ডেলিভারিতে দু প্লেসিকে কট বিহাইন্ড করে ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন ইয়াসির। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে দেন ৩৪ বছর বয়সে টেস্টে অভিষিক্ত নুমান আলি।
বাঁহাতি এই স্পিনার পরে ভাঙেন এলগারের প্রতিরোধ। সফরকারীদের একমাত্র ফিফটি পাওয়া ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন প্রথম স্লিপে। ১০৬ বলে খেলা তার ৫৮ রানের ইনিংস গড়া ৯ চারে।
দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় থামেন টেম্পা বাভুমা। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামা পেসার হাসান আলি বিদায় করেন জর্জ লিন্ডেকে। শেষের দিকে কাগিসো রাবাদার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২২০ পর্যন্ত যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার ইয়াসির। দুটি করে উইকেট নেন নাওমান ও আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৬৯.২ ওভারে ২২০ (এলগার ৫৮, মারক্রাম ১৩, ফন ডার ডাসেন ১৭, দু প্লেসি ২৩, ডি কক ১৫, বাভুমা ১৭, লিন্ডে ৩৫, মহারাজ ০, রাবাদা ২১*, নরকিয়া ০, এনগিডি ৮; আফ্রিদি ১১.২-০-৪৯-২, হাসান আলি ১৪-৫-৬১-১, ফাহিম ৫-০-১২-০, নুমান ১৭-৪-৩৮-২, ইয়াসির ২২-৬-৫৪-৩)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ৩৩ /৪ (ইমরান ৯, আবিদ ৪, আজহার ৫*, বাবর ৭, আফ্রিদি ০, ফাওয়াদ ৫*; রাবাদা ৬-৩-৮-২, নরকিয়া ৭-২-২০-১, এনগিডি ৩-০-৫-০, মহারাজ ২-২-০-১)।