বাংলাদেশের হয়ে অনেক ওয়ানডে খেলেও যা পাননি অনেকে, ইয়াসির সেই স্বাদ পেয়ে গেছেন ২০১৯ সালে। বাংলাদেশের একমাত্র ওয়ানডে ট্রফি জয়ী দলের অংশ ছিলেন তিনি। তবে খেলার সুযোগ পাননি তখন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি জায়গা করে নেন বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডেও। যথারীতি এখানেও অধরা একাদশে সুযোগ। সব মিলিয়ে অনেক দিন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আশেপাশে থাকলেও কোনো সংস্করণে অভিষেক হয়নি তার।
হাতছানি আছে এবারও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে আছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে শুরু করেছেন অনুশীলনও। পরের লক্ষ্য, চূড়ান্ত টেস্ট দলে জায়গা ধরে রাখা। এরপর, শেষের বৈতরণী পার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা।
নিজের দাবি জানানোর একটি সুযোগ তিনি পাবেন দল ঘোষণার আগে। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের বিসিবি একাদশে তিনি আছেন।
তবে এই ম্যাচে যদি ব্যর্থ হন? কিংবা এবারও যদি স্বপ্ন পূরণ না হয়! ইয়াসির নতুন আশা নিয়ে তাকাবেন সামনে।
“গত এক বছর ধরে যে জিনিসিটায় বেশি উন্নতি হয়েছে, তা হচ্ছে মানসিক দৃঢ়তা। অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। আগে দেখা যেত, একটি-দুটি ইনিংস খারাপ খেললে বা খারাপ সময় এলে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু এখন আল্লাহর রহমতে ওই রকম নয়। এখন জানি, যদি কষ্ট করি, ভালো সময়ে ফেরা যায়। মানসিকভাবে এই জায়গায় অনেক উন্নতি হয়েছে।”
তবে শুধু মনের জোরে তো আর ব্যাটিং হয় না। ইয়াসিরের দাবি, ব্যাটিং টেকনিকেও তার উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে।
“টেকনিক্যালি তো অবশ্যই (উন্নতি হয়েছে)। ম্যাকেঞ্জি ছিল যখন (ব্যাটিং কোচ), তখন ঢুকেছি দলে। তখন ব্যাটিংটায় টেকনিক্যালি অনেক বেশি, ২-৩টা জিনিস আরও বেশি উন্নতি করে দিয়ে গেছে। অবশ্যই বলব যে আমার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন থেকে আমি জাতীয় দলের অধীনে এলাম, নতুন ব্যাটিং কোচ জন লুইস এলেন, তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি অনেক আগ্রহী।”