মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে ‘শোকজ’
করে গত রোববার চিঠি পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
তাতে বলা হয়, “গত ২৫ মার্চ এক আদেশে আপনাকে
সরকারি ব্রজলাল কলেজে পদায়ন করা হয়। উক্ত আদেশে আপনাকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে
বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হলেও আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
পদায়ন/বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
“প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা
হিসেবে এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি পরিপন্থী এবং সরকারি
কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী
শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
এজন্য মন্মথ বাড়ৈকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা
অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে কর্মস্থলের যোগদান না করার
কারণ আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না, জবাবে
তাও জানাতে বলা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ ২০০৯ সালে শিক্ষামন্ত্রীর
দায়িত্ব পাওয়ার পর আট বছর তার এপিএসের দায়িত্বে ছিলেন মন্মথ রঞ্জন।
মন্ত্রীর এপিএস থাকার সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়মের
অভিযোগ ওঠে। এরপর এপিএসের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে ঢাকা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক
পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দাবি, ঢাকা
বোর্ড থেকে মন্মথকে বদলি করা হলে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে
যান এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।