কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রুল জারি করে।
আদালতে ইফরান সেলিমের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীব সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
আইনজীব সাঈদ আহমেদ রাজা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, সেগুলো জামিনযোগ্য ধারা। এসব ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের কারাদণ্ড। ইরফান সেলিম পাঁচ মাস ধরে কারাগারে আছেন। আর তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনি চারটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে তার জামিন চাওয়া হয়েছে। আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন।”
গত বছর ২৫ অক্টোবর রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বলপ্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার।
গত বছর ২৭ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন ইফরান সেলিম।
সে আবেদনেই শুনানি করে তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করলো উচ্চ আদালত।