বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার সময় ছোটাছুটি করতে দিয়ে রোগী ও স্বজনসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজারের দুইটি এবং রামুর একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালের নিচ তলায় একটি কক্ষে এই অগ্নিকাণ্ড হয় বলে জানালেও এর কারণ জানা যায়নি। তাক্ষণিকভাবে আহতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন মো. আব্দুর রহমান বলেন, হাসপাতালের নিচ তলার ১২১ নম্বর কক্ষে কিছু সরঞ্জামাদি মজুদ ছিল। সন্ধ্যায় হঠাৎ ওই কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসময় চিকিৎসাধীন সাড়ে চার শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা ছোটাছুটি করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে।
“এতে হুড়োহুড়ি করে হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলা থেকে নামতে গিয়ে রোগী ও স্বজনসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু রোগী স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হলেও অধিকাংশই হাসপাতালের আশপাশে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছে।”
তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ মারা যায়নি বলে জানান তিনি।
আরএমও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। এর ১৫/২০ মিনিট পর অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে রামু স্টেশনের আরও একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
তিনি জানান, হাসপাতালের নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও সূত্রপাতের কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এই ব্যাপারে তদন্ত চলছে।