বুধবার
বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি
সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান
নির্বাহীদের পাঠিয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতে রপ্তানি
আয়ের ‘খরা’ কাটাতে গত ১৭ মে
রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ- এর
সদস্যদের ইডিএফ থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা
আড়াই কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি ডলার করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একইসঙ্গে
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারককে এই তহবিল থেকে
তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ
দেওয়া হয়েছিল। বুধবার
নতুন সার্কুলারের মাধ্যমে এই সময় বাড়িয়ে
২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
সার্কুলারে
বলা হয়েছে, “কোভিড-১৯ মহামারীর বর্তমান
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে।”
২০১৮
সালের ২১ মের সার্কুলারে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে রপ্তানি ঋণপত্র/নিশ্চিত চুক্তি/ অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের
বিপরীতে বিজিএমইএ ও বিটিএমই সদস্য
কোম্পানিগুলো ইডিএফ
থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫০
লাখ ডলার ঋণ নিতে পারবে।
করোনাভাইরাসের
কারণে গত বছরের ১৭
মে অপর এক সার্কুলারে এই
সীমা বাড়িয়ে ৩ কোটি ডলার
করা হয়।
করোনাভাইরাসের
প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছরের ৭ এপ্রিল পাঁচটি
প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০
কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ
ঘোষণা করেছিলেন, তাতে ইডিএফ ৩ দশমিক ৫
বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার
করার কথা বলেছিলেন।
সে অনুযায়ী
ইডিএফের আকার ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি
ডলার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
আগে
ইডিএফ থেকে কোনো রপ্তানিকারক ঋণ নিলে লাইবর
(লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) এর সঙ্গে ১
দশমিক ৫ শতাংশ যোগ
করে সুদের হার নির্ধারণ করা হত। লাইবর রেট উঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪
শতাংশের মত পড়ে যেত।
স্বাধীনতার
পর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ১৫ মিলিয়ন ডলার
নিয়ে ইডিএফ গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রপ্তানি আয় বাড়ার সঙ্গে
পাল্লা দিয়ে সেই তহবিল এখন ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ব্যাক
টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পায়।