চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল
আবছার মিয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থী বিদায়ী কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।
স্থানীয়রা
জানান, দুপুর থেকেই আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি ও বিশ্ব কলোনি এলাকায় দুই
কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। বিকালে
দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
কাউন্সিলর
প্রার্থী নুরুল আবছার মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার কর্মীদের উপর
হামলা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে জহুরুল আলম জসিমকে ধরে নিয়ে গেছে।”
তবে
তার পক্ষের কয়জন আহত হয়েছে, তা জানাতে পারেননি নুরুল আবছার।
সংঘর্ষের
পর একজন নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় ফিরোজ
শাহ কলোনি এলাকায়।
এক
পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে আকবর শাহ থানার সেভেন মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের পর
বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরুল আলম জসীমকে আটক করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান।
ওই
খবর ছড়িয়ে পড়লে জসিমের অনুসারীরা ফিরোজ শাহ কলোনি থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ
করে। কলোনির গেট আটকে এবং সড়কে বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে বন্ধ করে দেয়।
এসময়
বিক্ষোভকারীরা সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সংবাদকর্মীদেরও গতিরোধ করে, গাড়ি ভাংচুরের
চেষ্টা চালায়। ভাংচুর করা হয় পুলিশ বহনকারী একটি মাইক্রোবাসও।
বিকেল
৫টায় কাউন্সিলর প্রার্থী জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে আটক করা
হয়েছিল। এখন ছেড়ে দিয়েছে।”
সংঘর্ষে
তার ১৬ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আকবর
শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।”
বিক্ষিপ্ত
সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে
ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারাও গেছে।