ক্যাটাগরি

জলবায়ু পরিবর্তন: একসঙ্গে কাজ করতে কেরি-মোমেন ফোনালাপ

মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে এ ফোনালাপ হয়
বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানে
বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ‘সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে’ আলোচনা হয় কেরি ও
মোমেমের মধ্যে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘পরীক্ষিত বন্ধুত্বের’ কথা স্মরণ করেন এবং কেরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পাওয়ায় বাংলাদেশের আনন্দিত হওয়ার কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের
নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইকে তার প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন।

সাবেক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে তিনি
দিয়েছেন তার জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। 

বৈশ্বিক
উষ্ণতা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের
বেশি যেন না হতে পারে,
সেজন্য নিঃসরণের মাত্রা সম্মিলিতভাবে কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয়েছে ২০১৫ সালের ওই চুক্তিতে। এ
পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৯টি দেশ ওই চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর
করেছে।

২০১৬
সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয় মাসের
মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পুরো বিশ্বকে হতাশ করেছিলেন ট্রাম্প।

নতুন
প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত ২০ জানুয়ারি
তার দায়িত্বের প্রথম দিনই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন। 

প্যারিস
জলবায়ু চুক্তি করার ক্ষেত্রে কেরির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করার পাশাপাশি ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের
ফেরাকে স্বাগত জানান মোমেন।

জলবায়ু
মোকাবেলা, অভিযোজন এবং প্রতিরোধ সক্ষমতা তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথাও কেরির কাছে তিনি বর্ণনা করেন।

পাশাপাশি
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং জিসিএ ঢাকা অফিসের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও কেরিকে তিনি অবহিত করেন।

সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলবায়ু পবির্তনের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির বিষয়টি আলোচনায় স্মরণ করেন জন কেরি।

তিনি
বলেন, আগামী জলবায়ু সম্মেলনই হয়ত এই পৃথিবীর মানুষের
জন্য এ সংক্রান্ত লক্ষ্য
অর্জনের ‘শেষ সুযোগ’। তা অর্জনে
যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাও দেন কেরি।

তিনি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়েও একমত হয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে
বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।