ক্যাটাগরি

টিকা নিয়ে তারা বললেন, ‘ভয় নেই’

“সবাইকে
বলব, আমাদের দেখে আপনারা টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ হোন। ভ্যাকসিন নিতে কোনো ভীতি যেন আপনাদের মনে না থাকে।”

অক্সফোর্ডের
উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা রুনুর শরীরে প্রয়োগ করেই বুধবার বাংলাদেশে বহু প্রত্যাশিত টিকাদান কার্যক্রমের সূচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার বিকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন
করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে রুনুসহ প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন তিনি। প্রথম দিন আরও ২১ জনকে টিকা
দেওয়া হয়।

দেশে
টিকা আসার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল অনেকের মনে। নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক প্রচারও তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে নানা কথা।

রুনু ভেরোনিকা কস্তা, বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নিলেন জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার এই নার্সকে প্রয়োগের মাধ্যমে উদ্বোধন হল টিকাদান। ছবি: পিএমও

রুনু ভেরোনিকা কস্তা, বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নিলেন জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার এই নার্সকে প্রয়োগের মাধ্যমে উদ্বোধন হল টিকাদান। ছবি: পিএমও

তবে
প্রথম দিন টিকা নেওয়া সবাই অভয় দিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনো সমস্যা
তারা বোধ করেননি, অন্যদেরও শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 

কুর্মিটোলার
সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তার পর অনুষ্ঠানে টেলিভিশন
ক্যামেরার সরাসরি সম্প্রচারেই একে একে টিকা নেন এ হাসপাতালের চিকিৎসক
ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।

উদ্বোধনী
দিনে টিকা নিতে আগ্রহীদের মধ্য থেকে ৩২ জনকে প্রাথমিকভাবে
নির্বাচন করা হয়েছিল। কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের মধ্য
থেকে ২৬ জন নেন
করোনাভাইরাসের টিকা।

প্রথম
পাঁচ জনের পর টিকা পেয়েছেন
মো. মাজেদুল ইসলাম, সানজিদা সুলতানা, মো. আবদুল হালিম, মো. এনামুল হাসান, মো. হামজা, শাম্মী আকতার, ডা. আল মামুন শাহরিয়ার
সরকার. ডা. ফরিদা ইয়াসমিন, ডা. আফরোজা জাহিন, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের খান, মো. আবদুর রহিম, কাজী জসিম উদ্দিন, মোশাররফ হোসাইন, মাসুদ রায়হান পলাশ, মো. আল মাসুম মোল্লা,
আমিরুল মোমেনিন, মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, মুন্নি খাতুন, মো. আশিফুল হাসান ও দেওয়ান হেমায়েত
হোসাইন।

টিকা
দেওয়ার পর কিছুক্ষণ তাদের
সবাইকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও কোনো সমস্যা দেখা না দেওয়ায় বুথ
থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয় মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলামকে। এদিনই দেশে টিকাদান উদ্বোধন হয়। ছবি: পিএমও

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয় মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলামকে। এদিনই দেশে টিকাদান উদ্বোধন হয়। ছবি: পিএমও

সবার
আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বেশ কিছুদিন করোনাভাইরাসের ভিডিও বুলেটিনে অংশ নেওয়ায় দেশের সবাই তাকে এখন চেনে।

অধ্যাপক
নাসিমা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন হিসেবে সবসময় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনগণকে সহায়তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এই টিকা যে
ক্ষতিকর কিছু নয়, তাও ‘প্রমাণ করা দরকার’ বলে তার মনে হয়েছে। 

“ভ্যাকসিন
আসার আগে মানুষের মনে অনেক আগ্রহ ছিল, নিশ্চয় টিকা পেলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। তবে যে কোনোভাবেই হোক,
একটা অপপ্রচার মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে যে এই টিকা
ক্ষতি করবে। আমি নিজে থেকে সংকল্প করেছি, আমি যখন অন্যকে টিকা নিতে বলব তখন অবশ্যই আমাকে টিকা নিতে হবে। এছাড়া টিকা নিয়ে যা বলা হচ্ছে,
সেসব যে অপপ্রচার, এটা
প্রমাণ করার জন্য টিকা নিয়েছি।”

টিকা
নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের
সামনে আসেননি রুনু ভেরোনিকা কস্তা। পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ তাকে সামনে নিয়ে আসেন। 

সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন প্রথম দিনেই। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার টিকাদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাতেসহ পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। ছবি: পিএমও

সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন প্রথম দিনেই। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার টিকাদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাতেসহ পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। ছবি: পিএমও

রুনু
বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় টিকা নিয়েছেন। টিকা পাওয়ার পর সুস্থ, স্বাভাবিক
আছেন। 

“আমি
সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিই। কারণ করোনাভাইরাসের টিকা আনা তার পরিশ্রমের ফল।”

কুর্মিটোলা
জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে
চলা যুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে যখন যে নির্দেশনা এসেছে
চিকিৎসক হিসেবে মেনে চলার চেষ্টা করেছেন তিনি।

“সাধারণ
মানুষ হিসেবেও তা মেনে চলেছি।
মাস্কের বিষয় ছিল, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, ট্রিটমেন্ট আপগ্রেডেশন হয়েছে- সব ফলো করেছি।
টিকা আসার পর সেটাও ফলো
করব, সেটা ছিল আমার ইচ্ছা।

“আরেকটা
ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যারা টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত থাকব, আমরা যদি প্রথমে নিই তাহলে সাধারণ জনগণ সহজে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ হবেন।”

 এই চিকিৎসকও জানালেন,
টিকা নেওয়ার পর কোনো সমস্যাই
তার হয়নি। হাসপাতালে কিছুক্ষণ থাকার পর নিজেই গাড়ি
চালিয়ে বাসায় গেছেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার প্রথম কোভিড-১৯ টিকা পাওয়া পাঁচজনের একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এদিনই দেশে টিকাদান উদ্বোধন হয়। ছবি: পিএমও

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার প্রথম কোভিড-১৯ টিকা পাওয়া পাঁচজনের একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এদিনই দেশে টিকাদান উদ্বোধন হয়। ছবি: পিএমও

প্রথম
দিন টিকা পাওয়া শাম্মী আকতার তেজগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
কার্যালয়ের ভ্যাকসিনেটর, অর্থাৎ আগামীতে তিনি অন্যদের টিকা দেবেন। 

শাম্মী
বলেন, “ভয়-ভীতির কিছু
নাই। আমি তো সবসময়ই টিকা
দিই। গত ডিসেম্বর থেকে
জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি
শিশুকে হাম রুবেলার টিকা দিয়েছি। ৯২ সাল থেকেই
এই কাজ করে আসছি। আজ এই টিকা
নেওয়ার পর আমার নিজেও
কোনো অসুবিধা হয় নাই।”

বাংলাদেশের
পরিচিত দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর মতে, করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘আশীর্বাদ’ হয়ে হয়ে এসেছে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেরে ফেলে সবারই টিকা নেওয়া উচিৎ।

“আমার
প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে টিকা নেব। টিকা নিয়ে দেখলাম, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাদের মনে আশঙ্কা আছে বা যারা ভয়
পাচ্ছেন তাদের আমি বলতে চাই, আমি নিয়েছি, আপনারাও নিন।”

এই
চিকিৎসক বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে টিকার কোনো বিকল্প নেই।

দেশে কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধন পর্বে টিকা নেন ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন। ছবি: পিএমও

দেশে কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধন পর্বে টিকা নেন ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন। ছবি: পিএমও

প্রথম
টিকা নেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় গর্ব অনুভব করছেন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজা জাহিন।

তিনি
বলেন, “এর আগে আমরা
যখন দেখেছি যে বাইরের দেশে
স্বাস্থ্যকর্মীরা ভলান্টিয়ার হিসেবে ভ্যাকসিন নিচ্ছে, তখন আমরা খুব প্রাউড ফিল করতাম যে সবার পক্ষ
থেকে তারা নিচ্ছেন এবং বাকিদের পথ দেখাচ্ছেন।

“আমার
দেশের জন্য আমি করতে পেরেছি। আমাকে দেখে যখন দেশের অনেক মানুষ ভ্যাকসিন নেবে তখন তারা বুঝবে যে টিকা নিরাপদ,
তারা আমাদের দেখে অনুপ্রেরণা পাবে।”

বাংলাদেশে
দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা ‘নিরাপদ এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে’ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে। আট সপ্তাহের ব্যবধানে
এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে।

দেশে কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধনী দিনে বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেন এনটিভির সাংবাদিক মাসুদ রায়হান পলাশ। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

দেশে কোভিড-১৯ টিকাদানের উদ্বোধনী দিনে বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেন এনটিভির সাংবাদিক মাসুদ রায়হান পলাশ। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

সেরাম
ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ টিকা নেওয়ার
পর হালকা গা ব্যথা, শরীর
গরম, লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি, টিকা দেওয়ার স্থান ফুলে যাওয়া, সেখানে ক্ষত হওয়া, অসুস্থ-ক্লান্ত বোধ করা, ঠাণ্ডা বা জ্বর জ্বর
লাগা, মাথা ব্যথা, বমি ভাব, জ্বর, ফ্লুর উপসর্গ- ইত্যাদি দেখা দিতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে।

টিকা
নিয়েছেন এমন ১০ জনের মধ্যে
একজনের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

আবার
মাথা ঘোরা, ক্ষুধামান্দ্য, পেট ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠার মতো কিছু অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কখনও কখনও দেখা দিতে পারে। এ ধরনের উপসর্গ
দেখা দিতে পারে প্রতি ১০০ জনে একজনের ক্ষেত্রে।

আর
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া
গেছে তাতে অক্সফোর্ডের টিকার ‘মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ নেই।

স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকা ১৮ বছরের কম
বয়সীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়নি। এ কারণে অপ্রাপ্তবয়স্ক
কাউকে টিকা দেওয়া হবে না।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

গর্ভবতী
নারীদের ওপর কোনো পরীক্ষা না হওয়ায় এই
টিকা সাধারণভাবে তারাও পাচ্ছেন না। স্তন্যদানকারী মায়েদেরও দেওয়া যাবে না। যাদের ড্রাগ অ্যালার্জি আছে, তাদের ব্যাপারেও সাবধানতা অবলম্বন করা হবে।

এছাড়া
যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন,
তাদের টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ হওয়ার চার সপ্তাহ আগে কাউকে টিকা দেওয়া হবে না।

স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “বুধবার অল্প কিছু মানুষকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচির শুভারম্ভ হয়েছে। যারা টিকা দিতে চেয়েছেন, তাদের সবাই টিকা দিতে পেরেছেন। প্রথমদিন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অনুযায়ী কার্যক্রম শেষ হয়েছে।”

যাদের
টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে ডা. ফ্লোরা বলেন, “তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সব সময় সঙ্গে
সঙ্গে হয় না। টিকা
নেওয়া প্রত্যেকেই বাড়ি চলে গেছেন।

“একটা
বিষয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যে কোনো টিকাতেই
কিন্তু মৃদু টাইপের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে এতে মারাত্মক কিছু আছে কি না তা
আমরা দেখছি। আমাদের টিম তৈরি করা আছে তাদের ফলোআপ করার জন্য।”