ক্যাটাগরি

তারা কয়টি গ্রামে গেছে: সানেম প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী

বুধবার সচিবালয়ে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে প্রশোত্তর পর্বে সানেমের সাম্প্রতিক ওই গবেষণার প্রসঙ্গ ধরে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

উত্তর দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “টেলিফোনের মাধ্যমে ৫০০/৭০০/৩০০ মানুষের সঙ্গে কথা বললে গবেষণা হয় না। তারা যদি মেহেরবানি করে বলতে পারেন যে, কয়টা গ্রামে গিয়েছেন, কয়টা মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন… পুরোটাই অযৌক্তিক, রিয়েল পজিশন থেকে ডেসটর্টেড। আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।”

গত শনিবার প্রকাশিত ওই জরিপ প্রতিবেদনে সানেম দাবি করে, করোনাভাইরাস মহামারীর অর্থনৈতিক অভিঘাতে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশামিক ৩০ শতাংশ। সানেম বলছে, ২০১৮ সালে তাদের গবেষণায় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৬০ শতাংশে নেমে যেতে দেখা গিয়েছিল।

মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সারা দেশে ৮ বিভাগের ৬৪টি জেলার ৫ হাজার ৫৭৭টি পরিবারের ওপর সর্বশেষ গবেষণাটি চালায় সানেম। নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।

সেই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কী আজব কথাবার্তা বলে! আপনারা গ্রামে যাচ্ছেন? শহরে থাকছেন। আপনাদের ধারণা কী? গরীবের হার বেড়ে গেছে? কী আজিব কথাবার্তা বলে এসব!”

মহামারীর কারণে দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে কি না- এ প্রশ্নে মুস্তফা কামাল বলেন, “করোনার কারণে যদি কেউ না খেতে থাকে, চাকরি চলে যায়, তাহলে সেটা আপানারা বলতে পারেন। কিন্তু আমরা তো চাকরি ফেরত দিয়েছি। না খেয়ে একজনও নেই। আপনারা যদি বলতে পারেন যে কেউ না খেয়ে আছে সেটা আমরা দেখব।

“বলাটা সহজ। বাংলাদেশে সবাই না খেয়ে আছে, এটা বলতে কী অসুবিধা! আমি সানেম হলে মনে হয় আরও বেশি বলতাম। সানেমে নই, এজন্য কম বলি,” এভাবেই প্রসঙ্গ শেষ করেন অর্থমন্ত্রী।