মঙ্গলবার উপজেলার
বড় চাঁদপুর ও পাটিচড়া গ্রামের তিন শতাধিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ নওগাঁ উপকেন্দ্রের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
পাশাপাশি এই
আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্কও বিতরণ করেন তারা।
১৯৪৮ সাল থেকে
প্রকৌশলীদের এই সংগঠন দেশব্যাপী নানা সামাজিক ও কল্যাণকর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীদের নিজস্ব অর্থায়নে ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
বড়চাঁদপুর গ্রামের
জনেস, মংলা, শিবানী ও পাটিচড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্তি মুরমু, বাবুরামসহ অনেকেই বলেন,
প্রচণ্ড এই শীতে এখন পর্যন্ত কেউ তাদের গরম কাপড় দেয়নি। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে
কোনোমতে শীত নিবারণ করছেন।
শান্তি মুরমু
বলেন, “গরম কাপড়ের অভাবে আমরা মাঠে কাজ করতে পারছি না। মাঠে কাজ না করলে আমাদের ভাগ্যে
খাবার জোটে না। আজ এই বাবুরা নওগাঁ থেকে এসে আমাদেরকে কম্বল দিয়ে গেল। আমরা শীতকষ্ট
থেকে বাঁচতে পারব।”
এই সময় উপস্থিত
ছিলেন নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী
প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন,
শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
প্রবীর কুমার পাল, নওগাঁ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এ.এম.এইচ. সঙ্গি প্রমুখ।
প্রকৌশলী সাজেদুর
রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের জীবন মান আগের
চেয়ে অনেটাই উন্নত হয়েছে। প্রচণ্ড এই শীতে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সমাজের
খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষদের জীবনযাপন অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“অনেক মানুষ
গরম কাপড়ের অভাব নিয়েই দিন কাটাচ্ছে। তাই সরকারের পাশাপাশি সমাজে যারা বিত্তবান রয়েছেন
আমরা সবাই যদি এই সব শীতার্ত মানুষদের পাশে একটু একটু করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই
তাহলে কেউ আর শীতে কষ্ট পায় না।”
প্রকৌশলী মাকসুদুল
আলম বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র
দিতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।”
আগামীতেও এসব
মানুষদের জন্য সংগঠনের উদ্যোগে আরও বড় ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি
প্রত্যাশা করেন।