বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে দুজনের একসঙ্গে পথচলা। সময়ের সঙ্গে পোক্ত হয়েছে বন্ধুত্ব, একসঙ্গেই দুজন এগিয়ে গেছেন স্বপ্ন পূরণের পথ ধরে। আইসিসির সবশেষ র্যাঙ্কিং হালনাগাদে দুজন একসঙ্গেই বড় লাফ দিয়ে ঢুকেছেন সেরা দশে। ৯ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন মিরাজ, ১১ ধাপ এগিয়ে আটে মুস্তাফিজ।
বিসিবির ভিডিও বার্তায় মিরাজ বললেন বন্ধুকে নিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা।
“মুস্তাফিজ তো আমার অনেক কাছের বন্ধু। আমরা ছোটবেলা থেকেই একসাথে ক্রিকেট খেলেছি,
অনূর্ধ্ব-১৬,
১৮,
১৯,
সবই খেলেছি। ওর সঙ্গে অনেক দুষ্টুমিও করি। খুব ভালো লাগছে যে ও শীর্ষ দশের ভেতর আছে।”
মিরাজের জন্য সেরা দশের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। তবে মুস্তাফিজ আগেও ছিলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পাঁচেও উঠেছিলেন, যা তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। এরপর ২২ গজে যেমন বিবর্ণ হতে শুরু করেন, র্যাঙ্কিংয়েও
হয় অবনমন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের পারফরম্যান্স আবার মুস্তাফিজকে নিয়ে নতুন করে আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। এই সিরিজে তার গতি ছিল ধারাবাহিকভাবে বেশ ভালো, কাটার আবারও কার্যকর মনে হয়েছে। লাইন-লেংথ ছিল দুর্দান্ত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অনেক অপেক্ষার পর ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতের আনার ডেলিভারি তিনি রপ্ত করতে পেরেছেন বলে মনে হয়েছে।
বল হাতে দুর্দান্ত একটি সিরিজের পর র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি মুস্তাফিজকে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে বলে মনে করছেন মিরাজ।
“আমাদের সবার জন্য এটা অনেক ভালো ব্যাপার,
মুস্তাফিজ শীর্ষ দশের মধ্যে আছে। মুস্তাফিজ বিশ্বমানের বোলার। ও কী করেছে…ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশকে অনেক অনেক জয় এনে দিয়েছে মুস্তাফিজ। ওর জন্য এ রকম একটা কিছু দরকার ছিল।”
“অনেক দিন ও ছন্দে ছিল না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ও এই সিরিজে অনেক ভালো বল করেছে। আমার মনে হয় যে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেক ক্রিকেটারই খুশি ওর পারফরম্যান্সে। আমরা চাই, মুস্তাফিজ আরও ভালো করুক এবং বাংলাদেশকে অনেক সাফল্য এনে দিক,
জয় এনে দিক।”