বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)
ওয়েবসাইটে তাদের অনিরীক্ষিত মুনাফার তথ্য জানিয়েছে বহুজাতিক এই কোম্পানি।
বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি
তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৯ টাকা ৪৫ পয়সা, যা
আগের এই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ৩৬ পয়সা।
বার্জার পেইন্টস ডিএসইকে জানিয়েছে, কাঁচামালের
দর কমা ও সার্বিক খরচ নিয়ন্ত্রণের ফলে মুনাফা আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া বিক্রিও আগের
চেয়ে বেড়েছে।
তবে সুদের হার কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ
থেকে মুনাফা কমে গেছে। বিক্রি বাড়লেও নগদ সংগ্রহ কমে যাওয়ায় শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ
কমে গেছে।
সেই হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ৫ টাকা ৯
পয়সা বা ৩৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস নয়
মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৬ টাকা ৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৪ টাকা ৯৭
পয়সা।
সেই হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ৬
পয়সা বা ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
মুনাফা বাড়ার খবরের পরও বার্জার পেইন্টস
বাংলাদেশের শেয়ার দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার এ শেয়ার যেখানে ঢাকার পুঁজিবাজারে
১ হাজার ৫৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল, বুধবার তা ১ হাজার ৫৬০ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন
হয়।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ
কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্জার পেইন্টস লিমিটেড
মুনাফা করেছিল ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২০ টাকা এবং
প্রতি ১০০ শেয়ারে আরো ১০০টি নতুন শেয়ার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্জার পেইন্টস লিমিটেড
মুনাফা করেছিল ২০৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২৫ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্জার পেইন্টস লিমিটেড
মুনাফা করেছিল ২৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৪ কোটি ৬৩
লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের
হাতে আছে ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে আছে দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার আছে।
বার্জার পেইন্টসের বর্তমান বাজার মূলধন
৭ হাজার ১৮৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা; রিজার্ভের
পরিমাণ ৯০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।