ক্যাটাগরি

বিদায়ের আগে কাঁপিয়ে যাবে শীত

আবহাওয়া
অধিদপ্তর বলেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে
যাবে।

মাঘের
মাঝামাঝিতে এমনিতেই সারাদেশে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের রাজারহাটে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জ্যেষ্ঠ
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাঘ মাসের মাঝামাঝি
চলছে। ইতোমধ্যে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে।

“বিদায়ের
আগে আরেকদফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন
আবহাওয়া বিরাজ করবে।”

তিনি
জানান, রংপুর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গাসহ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে রাতের
তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত
ঘন কুয়াশা হবে।

বৃহস্পতিবার
শৈত্যপ্রবাহ হবে এই মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া
অধিদপ্তর জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা
বলেছিল, যার একটি তীব্র রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বড়
এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে
মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।

গত
১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু
থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

১৫
জানুয়ারি বদলগাছিতে থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা
চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

বাংলাদেশে
শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে।

২০১৮
সালের ৮ জানুয়ারি এই তেঁতুলিয়াতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২ দশমিক ৬
ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা বাংলাদেশে রেকর্ড।

তার
আগে ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল;
১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল
২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।