ইভিএমে যেভাবে ভোট হচ্ছে, তাতে ‘চুরির কোনো শঙ্কা’ নেই জানিয়ে সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে যার যার ভোটটি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন নওফেল।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সুরজিৎ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ১৬২০ ভোট। প্রথম আধ ঘণ্টায় ১২টি ভোট পড়েছে। ভোট গ্রহণ ‘সুষ্ঠুভাবেই’ চলছে।
ভোট দেওয়ার পর চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। যেভাবে ভোট হচ্ছে তাতে ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ বা শঙ্কা নেই। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট নেওয়ার নির্দেশনা। ভোটারদের আহ্বান জানাই কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রমের মানুষ উন্নয়নের ধারাবহিকতা রক্ষায় ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করবেন। যিনি মেয়র হবেন তার কাছ থেকে এসব নাগরিক সেবা আমরা আশা করি। নৌকার প্রার্থী জয়ী হবেন বলে প্রত্যাশা করি।”
এর আগে সকাল ৮টায় একই ওয়ার্ডের কদম মোবারক এমওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, “এইমাত্র ভোট দিলাম। ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। অনিয়ম, জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। ভোটারদের অংশগ্রহণে সার্বিকভাবে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রার্থীরা নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চালিয়েছে। নৌকার প্রতীকের জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
“আশা করি নগরবাসী চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।”
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র, ৩৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৪ জন নারী কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মধ্যে।