বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির প্রথমেই স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল কর্মীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাচ্ছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটি মহামারীর শুরুর দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে।
এরই মধ্যে দেশটিতে শনাক্ত রোগী এক লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে; মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮২ জনের।
গত সপ্তাহে মিয়ানমার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে বানানো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার পেয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে নয়া দিল্লি এসব টিকা উপহার পাঠাচ্ছে; তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও ওই অঞ্চলের অনেক দেশকে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
“টিকার কারণে সংক্রমণের হার হ্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া উচিত। এটা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে,” সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন ইয়াংগন জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি দেখভালের দায়িত্বে থাকা মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা টুন মিন্ট।
দেশটিতে সরকারি হিসাবে এখন দৈনিক কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কমতে দেখা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুলনামূলক কম শনাক্তকরণ পরীক্ষার কারণে সংক্রমণের পুরো চিত্রটা স্পষ্ট হচ্ছে না।
“মহামারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে আমরা খুবই ক্লান্ত,” বলেছেন কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ইয়াংগনে বানানো আইয়ারওয়াদি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়া স্বেচ্ছাসেবী খান্ত কো কো।
আরেক স্বেচ্ছাসেবী ফোন মিন খান্ত বলেছেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রথম যে দেশগুলোতে টিকাদান শুরু হয়েছে তার মধ্যে মিয়ানমার থাকায় তিনি গর্বিত।
মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা দুর্বল হওয়ায় দেশটিকে মহামারী মোকাবেলায় হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর উপর অনেকখানি নির্ভর করতে হচ্ছে।
দেশটিতে শুক্র ও শনিবার পার্লামেন্ট সদস্যদেরও টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমার চলতি বছরের মধ্যে তাদের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার ‘উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা’ হাতে নিয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের আরও ২০ লাখ টিকা পৌঁছানোর কথা।
চলতি মাসে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফরে গিয়ে দেশটিকে চীনের কোভিড-১৯ টিকার ৩ লাখ ডোজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন।