ক্যাটাগরি

মুন্সীগঞ্জ পৌরে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রই বেশি, থাকছে বাড়তি নজর

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বদর-উদ-দোজা ভূঁইয়া
বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বললে এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা পৌঁছায় জনগণের কাছে, তাই আমরা ‘গুরুত্বপূর্ণ
বলি।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, দুই
দিন বাদে এ নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৭টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ৮টি ‘সাধারণ’।

সাধারণ কেন্দ্রে ৪-৫ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৬ জন করে পুলিশ
সদস্য থাকবে।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে সাতজন সদস্যের একটি পুলিশের
ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং টিম থাকছেও।

“তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে পৌর এলাকাকে, যেখানে এ তিনটি টিম কাজ
করবে। থাকবে স্ট্যান্ডবাই টিমও। তাছাড়া থানা ও ফাঁড়ির একাধিক টিমও কাজ করবে নির্বাচনের
দিন।”

তিনি বলেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইটি কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি মোবাইল
টিমও অবস্থান করবে। বাড়তি নজরদারির আওতায় থাকবে এ কেন্দ্রে। ৫, ৪, ৯ কেন্দ্র তিনটিতে
থাকবে আলাদা নজর।

আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তো থাকবেই বলেন তিনি।

র‌্যাব-১১ এর সাব ইন্সপেক্টর আফতাব জানান, মুন্সীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে র‌্যাবের
৮জন করে তিনটি টহল দল মাঠে থাকবে। নয়টি কেন্দ্রে বিশেষ নজর থাকবে।

এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৪০ জন এবং সংরক্ষিত
মহিলা কাউন্সিলর ৯ জন। ভোটার সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৭৪ জন।

এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটি ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রেখেছে পুলিশ।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, এ নির্বাচনে ২৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার,
১৫০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০০ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং
শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি তাদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।

মিরকাদিম পৌর নির্বাচনে
আ. লীগ একাট্টা

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় নির্বাচনে প্রার্থীতা
প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মনছুর
আহামেদ কালাম এবং মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. মনিরুজ্জামান শরীফ।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন মঙ্গলবারে তারা দুইজন নিজেদের প্রার্থীতা
প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার বদরুদ্দৌজা
ভূইয়া।

তবে গেল পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া বর্তমান মেয়র শহীদুল
ইসলাম শাহীন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তিনি জেলা বা পৌর আওয়ামী লীগের কোন পদে বা দায়িত্বে
নেই। তাই মেয়র পদে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছের চার প্রার্থী।

তারা হলেন আব্দুস ছালাম, শহিদুল ইসলাম শাহীন, খন্দকার  মোহাম্মদ হোসেন  রেনু ও মিজানুর রহমান।