ক্যাটাগরি

মোটরসাইকেলের সিসি সীমা বাড়ানোর ভাবনা

বর্তমানে
দেশে ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন বা চলাচলের অনুমতি নেই। ওই
সীমা বাড়িয়ে ৩৫০ সিসি করার একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন।

বিডিনিউজ
টোয়েন্টিটফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ সিসি সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন।
আরেকটি পক্ষ চাইছেন, এখনই যাতে এ উদ্যোগ না নেওয়া হয়। অর্থাৎ আরও কিছুদিন পরে নেওয়া
হয়।

“সেজন্য
বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। শিল্প মন্ত্রণালয়ও বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ শেষে সিদ্ধান্ত নেব।”


বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার
বিবেচনায় নিলে এখন আর সিসি সীমার বাধ্যবাধকতা থাকা ‘উচিত নয়’।

“আবার
যারা ইতোমধ্যে ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলের প্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন, এই উদ্যোগের ফলে তারা
কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেশি সিসির মোটরসাইকেল দেশে অনুমোদন পেলে ১৬৫ সিসির ক্রেতারা
বেশির দিকেই ঝুঁকবে। তাদের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হয়। সেজন্য সিদ্ধান্ত দিতে সময় লাগছে।”

মোটরসাইকেলের
সিসি (সেন্টিমিটার কিউব) সীমা হচ্ছে ইঞ্জিনের শক্তিমত্তার পরিচায়ক। মোটরসাইকেলের গতি
সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক নেই। ইঞ্জিনের ভেতরে ঘূর্ণায়মান পিস্টনের আয়তন যত বড়, ইঞ্জিনের
সিসি ক্ষমতা তত বেশি। বড় আয়োতনে পিস্টন লাইনারে ইঞ্জিন বেশি পরিমাণে বাতাস ও জ্বালানির
মিশ্রণ ধারণ করতে পারে বলে বেশি শক্তি তৈরি হয়।

টিভিএস
অটো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, এই মুহূর্তে সিসি সীমা
১৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ করার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যুগের চাহিদা বিবেচনায় তা
করা যেতে পারে।

“তবে
সম্প্রতি দেশের বাজারে বেশ কয়েকটি ১৬৫ সিসির মোটরসাইকেল প্ল্যান্ট করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান
লাভজনক হওয়ার আগে নতুন নীতি চালু হলে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।

“তাই
সিসি সীমা বাড়ানো হলেও দেশি তৈরি ১৬৫ সিসির মোটরসাইকেলের বাজার সুরক্ষায় বিশেষ নীতি
সহায়তা থাকা প্রয়োজন।”

বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী
জানান, মোটরসাইকেলের সিসি সীমার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি বিভাগ দেখে।

“তারা
যেটা আমদানির অনুমোদন দেয়, আমরা সেটার পারমিট দেই। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পেলে
এখানে আর কোনো জটিলতা থাকবে না।”