বুধবার দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবিরের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি সরওয়ার চৌধুরী আবদাল।
আদালতে সাক্ষ্য দেন শাহ এএমএস কিবরিয়ার ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো আব্দুল্লাহ, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রহমত আলী, আব্দুল মতিন এবং ইমান আলী।
এ নিয়ে এ মামলায় ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হল।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার আসামির মধ্যে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১৯ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী ৩ মার্চ ঠিক করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।
তিন দফা তদস্তের পর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল।