সাধারণ
কাউন্সিলর পদের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত, একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী
হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নগরীর
এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে ভোটের ফল ঘোষণা করছেন সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো.
হাসানুজ্জামান।
সেখানে
রাত পৌনে ১১টার দিকে এই চারটি কাউন্সিলর পদের ফল ঘোষণা করা হয়।
৪
নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসরারুল হক ৬ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী
হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনিসুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৮৮৭ ভোট।
যু্বলীগের
কোনো পদে না থাকলেও নগরীতে কিশোর অপরাধী চক্রের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত এসরারুল
হক নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।
চান্দগাঁও,
বহদ্দারহাট, কালুরঘাট, পাঁচলাইশ এলাকায় তার অনুসারীরা সক্রিয়। তার বিরুদ্ধে
চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে।
২০১৯
সালের ৫ এপ্রিল চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ফরিদের পাড়া এলাকায় আমজাদ হোসেন নামের এক
ব্যক্তির পা ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসরারুলের অনুসারীদের
বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রামে ‘চাঁদা না পেয়ে’ ড্রিল মেশিনে পা ফুটো করার অভিযোগ
৬
নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আশরাফুল আলম ৬
হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী হাসান লিটন পেয়েছেন ৭৩ ভোট।
৫
নম্বর মোহরা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন ৭ হাজার ৬৫৮ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আজম
পেয়েছেন ২৮৩ ভোট।
সংরক্ষিত-২
আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জোবাইরা নার্গিস খান ১৬ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে
বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী রোকেয়া বেগম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৯ ভোট।