ক্যাটাগরি

স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সাহসী প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন তার প্রতিশ্রুতিতে সুনির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। কিন্ত গ্রীষ্মের শেষ নাগাদ কথাটি উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে কার্যত তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের কথাই বলে ফেলেছেন।

সেকারণে এ প্রতিশ্রুতিকে সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এ প্রতিশ্রুতি যে তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেনই তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

যদি বাইডেন সফল হন, তাহলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রেখে যাওয়া বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে তার (বাইডেন) প্রতিশ্রুতি ঘোষণার মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দিনটি।

আর সফল না হলে প্রেসিডেন্সির শুরুতেই বাইডেনের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মক ধাক্কা খাবে। আর সেরকম হলে তার প্রশাসন আরও বিপাকে পড়ে যাবে। কারণ, তখন মহামারী সংকট যে কেবল দীর্ঘায়িত হবে তাই নয় বরং বাইডেনের অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও বিঘ্নিত হবে।

বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয় দিনে কোভিড মোকাবেলায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিশেষত অঙ্গরাজ্য, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে।

সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার বাইডেন আরও ২০ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনা এবং কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যগুলোতে তা বিতরণের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “(সরকারি) ব্যবস্থার অপেক্ষায় থাকা জাতিকে আমি এ মুহূর্তে স্পষ্ট করে বলতে চাই, সহায়তা আসছে।”

বাইডেনের এ ঘোষণা একইসঙ্গে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক। প্রায় এক বছরের লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণা এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শীতের অন্ধকারাচ্ছন্ন এই সময় পারের সময়টিতে মানুষ যখন হতাশ, ঠিক তখনই তাদেরকে উদ্দীপ্ত করতে পারে বাইডেনের এই প্রতিশ্রুতি।