ক্যাটাগরি

হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাবেক এমপি কারাগারে, রায় ৪ ফেব্রুয়ারি

একই সঙ্গে আদালত আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে দিয়েছে বলে পিপি আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন।

সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির বুধবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

২০০২ সালে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ‘ধর্ষণের শিকার’ হলে ওই বছর ৩০ অগাস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাকে দেখে মাগুরায় যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগে কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে যান। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তিনি সাতক্ষীরার আমলি আদালতে মামলা করেন। এ মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

তদন্ত করে পুলিশ সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের তৎকালীন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

তাদের মধ্যে ৩৪ জন উপস্থিত থাকলেও ১৫ জন পলাতক এবং একজন অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক অমল রায়।

পিপি আব্দুল লতিফ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে গিয়ে সাক্ষীর জবানবন্দি পৃথকভাবে তুলে ধরেছে। তাতে বলা হয়েছে, সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এ মামলার অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে।

“প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপক্ষ আরও বলেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করে ঘাতকরা। কলারোয়ায় ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা তারই অংশ।”

ন্যায়বিচার হলে আসামিরা প্রত্যেকে দোষী প্রমাণিত হবেন এবং সর্বোচ্চ সাজা পাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তবে আসামিপক্ষ এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের স্ত্রী শাহনাজ পারভিন বকুল বলেন, “বাদীর আরজি, পুলিশের অভিযোগপত্র ও সাক্ষীদের জবানবন্দি ব্যাখ্যা করে বিবাদীপক্ষ বলেছে, এখানে তথ্যগত অসংগতি রয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিরা কোনোভাবেই দোষী প্রমাণিত হননি।”

ন্যায়বিচার হলে সব আসামি খালাস পাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০২ সালের ওই দিনে হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ ‘অনেকেই’ আহত হন। এছাড়া ‘বেশ কয়েকজন’ সাংবাদিকও সে ঘটনায় আহত হন।

 

আরও খবর-


শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাফাই সাক্ষ্য দিলেন রিজভী
 


সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা ৩ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ
 


সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বাদীকে জেরা করেনি আসামিপক্ষ