শুক্রবার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “৩০ জানুয়ারি ২০২১
তারিখ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এইচএসসি
ও সমমান পরীক্ষা ২০২০ এর ফলাফল ঘোষণা
করা হবে।”
ফলাফল
ঘোষণার এই আনুষ্ঠানিকতা হবে
ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫
হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।
মাসের পর মাস অপেক্ষা
করেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি
না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর
এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর
মত এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না।
সেদিন তিনি জানান, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০
সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা
হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির
ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায়
নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান
থাকায় তা সংশোধন করে
বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান
যুক্ত করতে হয়েছে, যা গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অনুমোদন পায়।
সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর
সোমবার রাতে‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি কর সরকার।
এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পুরনো খবর
এইচএসসির ফল প্রকাশ, সনদ বিতরণের ক্ষমতা পেল সব শিক্ষাবোর্ড
এইচএসসি: আইন সংশোধনের গেজেট হল, এখন ফলের অপেক্ষা