শুক্রবার নগরীর ডবলমুরিং থানায় সংবাদ
সম্মেলন করে এ তথ্য জানান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানটুলি
বংশাল পাড়ায় গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে সে এলাকায়
অভিযান চালিয়ে নিজাম খান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি শনাক্ত করে।
“নিজামের বাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছে নিশ্চিত
হয়েই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে ওই বাড়ির ছাদে তল্লাশি চালিয়ে কবুতরের ঘরের ভেতর
অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।”
নিজামের বাড়ি থেকে দুইটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র
ও একটি এয়ার গান, অস্ত্র তৈরির ডায়াগ্রামসহ বিভিন্ন ধরনের লোহা কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার
করা হয়। এসব দিয়ে ঘরে বসেই নিজাম অস্ত্র তৈরি করতেন বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপ-কমিশনার ফারুক
বলেন, “নিজামের অপরাধের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে সে পেশাদার অপরাধী। নিজে বাসায় অস্ত্র তৈরি
করে বিক্রি করত। তাকে ধরা গেলে জানা যাবে কাদের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করত।”
অভিযানে নিজামের স্ত্রী মেহেরুন্নেসাকে
(৩৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান,
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে থানায় একটি ফোন আসে। সেখানে বংশাল
পাড়ায় গুলির শ্বদ পাওয়ার কথা জানানো হয়।
“খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানার একটি দল সেখানে
গিয়ে বিভিন্ন বাসায় এবং এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান চালায়। সে সময় শাহ আলম নামের
এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করার সত্যতা পাওয়া যায়। শাহ আলমকে জানান, নিজাম খান
নামের এক ব্যক্তি তার বাসায় গুলি করেছে।”
শাহ আলমের বরাত দিয়ে ওসি মহসিন বলেন,
“শাহ আলম জানিয়েছে বুধবার সিটি নির্বাচনের দিন নিজাম তাকে হুমকি দিয়েছিল। এ নিয়ে তাদের
মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাসা লক্ষ্য করে গুলি করে
নিজাম।:
এ ঘটনায় নিজাম খান, তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা
এবং অপর এক সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাহ আলম।
পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বলেন, “শাহ আলমের
অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজাম খানের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। বাড়ির ছাদে তিনটি কবুতরের
বাসার একটিতে অস্ত্র কারখানার সন্ধান মেলে। সেখানে ছোট অস্ত্র তৈরির কাগজের কিছু নকশা
পাওয়া গেছে। যেগুলো মিলিয়ে সে অস্ত্র তৈরি করে।”
পাশাপাশি লেদমেশিনসহ লোহা কাটার বিভিন্ন
ধরনের যন্ত্রপাতি ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের তৈরি করা পাইপ উদ্ধার করা হয়।